প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাহিনী আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একসঙ্গে জোর ধাক্কা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপির নুন খেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী হঠাৎই বলে বসে, তারা স্পর্শকাতর বুথের তালিকা পায়নি। তাই সেখানে সময়ে পৌঁছতে পারেনি। পালটা নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার প্রশ্ন, যদি বাহিনী তালিকাই না পেয়ে থাকে, তাহলে ঘটনাস্থলে পৌঁছল কেমন করে? জেলাভিত্তিক সব স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল, এসপি-ডিএমের সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-বিরোধীরা নেই, চা-বলয়ে ফুটল জোড়া ফুল
বিএসএফ যদি তালিকা নাই পেল, তাহলে স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী গেল কী করে? আসলে সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। কমিশনকে এবার আদালতের নির্দেশে কাজ করতে হয়েছে। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশ সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।
আরও পড়ুন-এই ফল আগামীর পথনির্দেশক: ডাঃ শান্তনু সেন
ভোট-অশান্তি প্রসঙ্গে রাজীব সিনহা বলেন, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। সেটাও শান্তিতে মিটেছে। মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতে গোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়। মাঝে কিছুক্ষণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গোলমাল দেখা দেয়। দ্রুত তা সারিয়ে ফেলে ফের সেটিকে সচলও করে কমিশন।