মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানার নেপথ্যে আসলে কে কলকাঠি নেড়েছে তা স্পষ্ট করে দিলেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। বুঝিয়ে দিলেন, চক্রান্তটা আসলে গদ্দারেরই। রেড রোডের ধরনামঞ্চের পাশে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর মন্তব্য, বোঝাই যাচ্ছে কার নির্দেশে এই হানা হয়েছে। ক্রনোলজিটা বুঝতে হবে, বিরোধী দলনেতা সোমবার দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবার বাড়ি-বাড়ি ইডি পৌঁছে যাচ্ছে। বিজেপি আবার প্রমাণ করল, ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক নির্দেশ রয়েছে। বিরোধী দলনেতাই কলকাঠি নেড়ে এসেছে দিল্লি গিয়ে।
আরও পড়ুন- ভার্চুয়াল উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, নতুনভাবে সেজে উঠছে শিলিগুড়ি বাস ডিপো
১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন শশী পাঁজা। তাঁর কথায়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার হওয়া সত্ত্বেও লক্ষাধিক ভুয়ো জবকার্ড বেরিয়েছে। ওখানে কিন্তু টাকা বন্ধ হয়নি। কিন্তু ২০২১-এ সংসদে আমাদের সাংসদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সেই সময় বাংলায় এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৫,৬০০। অথচ বাংলার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হল। ডাঃ পাঁজার কথায়, জব কার্ড ভেরিফিকেশনে বাংলা দারুণ কাজ করেছে। ২১ লক্ষ বঞ্চিত মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ দিদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। বিজেপি এসব শুনেই পাগল হয়ে গিয়েছে। তাই নজর ঘোরাতে ফোনেই অভিযান, শুধু-শুধু বাংলার মানুষকে হেনস্থা।
এদিকে, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ক্যাগ নিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিধানসভায় ক্যাগ নিয়ে আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য চক্রান্ত, এসব বিজেপির বুজরুকি, বিধানসভায় নাটক। কিন্তু এসব বলে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না।