সুমন করাতি, চন্দননগর : চন্দননগর একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু ফরাসিদের তৈরি করা শহরের উন্নয়ন দূরস্থান, তাকে আরও শ্রীহীন করে ফেলেছিল বামেরা। স্বাভাবিকভাবেই চন্দননগরবাসী ২০১০ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়িত্ব দেয় পুরনিগমের। ভাল কাজের নিরিখে ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের জন্যও ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র দু’বছরের মধ্যে পুরবোর্ড ভেঙে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে এবারই প্রথম নির্বাচন হবে চন্দননগর পুরনিগমে। স্বাভাবিকভাবে এই নির্বাচনের দিকে সবার নজর।
আরও পড়ুন-কাভানির গোলে হার বাঁচালেন রোনাল্ডোরা
হুগলি জেলার একটি মাত্র পুরনিগম এই চন্দননগর। আসনসংখ্যা ৩৩। প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, মানুষের রায় নেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি। আর মানুষ যে তাঁদের পক্ষেই রায় দেবেন, এ ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী তিনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যজোড়া উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চন্দননগরবাসীর জন্য যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তাতে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই আশীর্বাদ করে ক্ষমতায় ফেরাবে।
তিনি আরও জানান, কাজে কোনও খামতি রাখা হয়নি। মানুষ তৃণমূল সরকারের কাজে খুব খুশি। চন্দননগর পুরনিগমের ভোট নিয়ে বিশেষ আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস দলও। দলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ৩৩টি আসনেই জয়লাভ করবেন তাঁরা। সাধারণ মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন। আগামী দিনে চন্দননগরের পর্যটন থেকে উন্নয়নমূলক কাজ, সব দিকেই বিশেষ নজর দেবে প্রশাসন।