সন্দেশখালি নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির অপচেষ্টার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং বীরবাহা হাঁসদা। মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো উদ্বেগপ্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন কী করতে চাইছেন স্মৃতি ইরানি? কেন তিনি ধর্মের ভিত্তিতে বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছেন? সন্দেশখালির ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বলে সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, দিল্লিতে বসে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্য, আসলে রাজনৈতিক চশমা পরে আছেন স্মৃতি ইরানি। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা প্রশ্ন তুলেছেন, মণিপুরে যেভাবে নারী নির্যাতন ঘটছে, মহিলাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে তা কি দেখতে পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? সেইসব ঘটনা নিয়ে নীরব কেন স্মৃতি? জাতপাতের নিরিখে মহিলাদের মধ্যে বিভাজনরেখা টানার গেরুয়া চক্রান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী। উত্তর প্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের অমানবিক ঘটনার কথা তুলে ধরে তাঁর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। ২ মন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, সন্দেশখালিতে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে অবশ্যই শাস্তি পাবে অপরাধীরা।
আরও পড়ুন- ‘আমি দশ বছর কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বাস করেছিলাম’ ক্ষোভ দেবের