সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : ‘২০১৮ সালে যে আবাস যোজনা কার্যকরী হওয়ার কথা, তা কেন্দ্র পাঠাল ২০২২ সালে। এই বিলম্বের জন্যই যত অশান্তি। এই সময়ের মধ্যে অনেকের আর্থিক অবস্থা বদলেছে, অনেকে ঋণ করে বাড়ি করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ওদের কাছে প্রশ্ন, একটি প্রকল্পের তালিকা কার্যকর করতে এত দেরি কেন? অনেকের আর্থসামাজিক পরিকাঠামো বদলেছে বলেই রাজ্য নতুন করে সমীক্ষা করাচ্ছে। কারণ তৃণমূল স্বচ্ছতা চায়, দুর্নীতি চায় না।’
আরও পড়ুন-নিরুদ্দেশ হোর্ডিংয়ে ঝড় রাজ্য জুড়ে
বৃহস্পতিবার বরাবাজারের ইন্দকুঁড়ি ময়দানে আয়োজিত মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের চলো গ্রামে যাই ও পঞ্চায়েতি সভায় এভাবেই আবাস যোজনায় অশান্তি নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মন্ত্রী ও মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন দলের তিন নেত্রী, বিধাননগর পুরসভার মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মালা সাহা ও মিতা বক্সি। সভার পর তাঁরা চলো গ্রামে যাই কর্মসূচিতেও অংশ নেন। বরাবাজারের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সত্তর ভাগই ছিলেন মহিলারা। তাঁদের উপরই পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাংলাছাড়া করার দায়িত্ব দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘মহিলাদের অর্ধেক আকাশ বলে দায় সারেননি মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় আইনে বলা আছে, ভোটে মোট আসনের কমপক্ষে ৩৩ ভাগ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে প্রশ্ন করুন কেন প্রাপ্য পাচ্ছেন না, পাত্রসায়রে মন্ত্রী শশী
২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩৩ কেন, এরাজ্যে ৫০ শতাংশ আসন থাকবে মহিলাদের জন্য। তাঁদের সম্মান দিতে শুধু সংরক্ষণ করেই তিনি থেমে থাকেননি— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁরাই মূল। নারীরাই সমাজ গড়েন। ছেলেমেয়ের জন্ম দেন, মানুষ করেন। সুস্থ সমাজের স্বার্থেই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। তৃণমূলকে জেতাতে মেয়েদের সক্রিয় হতে হবে। সভায় ছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী সুমিতা সিং মল্ল, জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, আইএনটিটিইউসি সভাপতি উজ্জ্বল কুমার, মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নমিতা সিং মুড়া, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন প্রমুখ।