বৃহস্পতিবার, নব মহাকরণের ব্লক বি-এর একতলা থেকে ১০তলা কলকাতা হাই কোর্টকে দিল রাজ্য সরকার। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিডিয়া ট্রায়ালে নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি আবেদন করেন, মিডিয়া ট্রায়াল (Media Trail) বন্ধ করা উচিত। এই প্রথা যেকোন মামলাকে বিপথে চালিত করে। বিচার ব্যবস্থা তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলে। কিন্তু সে সব পেশ হওয়ার আগেই কিছু বলে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সঙ্গতি থাকছে না। কিন্তু বাংলার বদনাম হচ্ছে।
আরও পড়ুন-১৫ দিন পর জ্ঞান ফিরল কৌতুক অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তবের
হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি (chief Justice) প্রকাশ শ্রীবাস্তাবের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মিডিয়ার বন্ধুদের বলব আপনারা খবর দেখান। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাও বলতে পারেন। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন। এতে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বকেয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিরও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর। তিন-চার বছর ধরে অনেক মামলা জমে আছে। সেই মামলাগুলি দ্রুত শুনানি করার আর্জি জানান মমতা। চান আরও বেশি সংখ্যায় মহিলা বিচারপতি নিয়োগ হোক।
আরও পড়ুন-‘বিজেপিকে ভয় পাই না’
স্ট্র্যান্ড রোডের নব মহাকরণ ভবনের একাংশ রাজ্য সরকার কলকাতা হাই কোর্টকে হস্তান্তর করল। নগর দায়রা আদালতের একাংশ সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে। আদালতে স্থান সংকুলানের সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নব মহাকরণ থেকে কয়েকটি দফতর সরিয়ে তা আদালতের কাজের জন্য দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই হস্তান্তরের জেরে আবাসন, ক্রীড়া, সমবায়, পর্যটন দফতর ও লেবার ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থা একপক্ষ নয়, নিরপেক্ষ হতে হবে। সঠিক বিচার পেতেই মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন-আদিবাসী মহিলাদের পুজোর ভরসা মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ছিল। কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এর বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ফের ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করে। এই মুহূর্তে ১৯টি মানবাধিকার কোর্ট রয়েছে।