লর্ডসের মাঠে শেষ হল ২০ বছরের রূপকথার এক যাত্রাপথ। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের একটি মেয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করে গেলেন। এর পিছনে অনেক পরিশ্রম, লড়াইয়ের গল্প। চাকদহ স্টেশন, রানাঘাট লোকাল, শিয়ালদহ স্টেশন, বিবেকানন্দ পার্কের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড, বাবুঘাটের বাস স্ট্যান্ড— সবকিছুই ঝুলন গোস্বামীর উত্থানের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে। ঝুলনের (Jhulan Goswami- Mamata Banerjee) অবসর গ্রহণের দিনে তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার রাতেই ট্যুইটারে ঝুলন গোস্বামীকে (Jhulan Goswami- Mamata Banerjee) ‘আমাদের মেয়ে’ বলে সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান,”মহিলা ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিং আর ঝুলন গোস্বামীর নাম সমার্থক। সেই ক্রিকেটার আজ দীর্ঘ কেরিয়ার থেকে অবসর গ্রহণ করলেন। রাজ্যবাসীর তরফে আমি আমাদের মেয়ে ঝুলন গোস্বামীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর লড়াই এবং অবদানকে সম্মান জানাচ্ছি। তাঁকে দেখে অনেক যুবতী বেড়ে উঠবে।”
Jhulan Goswami, a name synonymous with fast bowling in women’s cricket, retires today after an illustrious career.
On behalf of everyone in Bengal, I thank our daughter @JhulanG10 for her immense contributions despite her struggles.
May young girls continue to look up to her!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 24, 2022
এমন একটা সময়ে ক্রিকেটকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন যখন মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেকেরই তেমন কোনও ধারণা ছিল না। শুধু ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে, ইডেন গার্ডেন্সে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচে বল গার্ল হয়ে খেলাটাকে ভালবেসে ফেলেছিলেন সেদিনের কিশোরী ঝুলন। মহিলা ক্রিকেটের অভ্যুত্থান নিজের চোখে দেখেছেন। অবহেলায় থাকা মেয়েদের ক্রিকেটের ছবিটা বদলে দিতে পেরেছেন ঝুলনরা। তাই তো বিদায়ী ম্যাচে নামার আগে নির্দ্বিধায় বঙ্গললনা বলে দিলেন, ‘‘ভারতে মেয়েদের ক্রিকেট ধীরে ধীরে শীর্ষে উঠেছে। এখন আমরা ঠিক রাস্তায় আছি। ভাল লাগছে, আমাদের দেখে অনুপ্রাণিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখন ক্রিকেটকেও কেরিয়ার করতে পারে মেয়েরা।’’ বর্ণময় কেরিয়ার শেষ করলেও ক্রিকেট থেকে ঝুলনদের অবসর হয় না। কথায় আছে ‘লেজেন্ড নেভার রিটায়ার’।
আরও পড়ুন-চাঁদা নয়, অনুদানেই হয় পুজো