পৌঁছতে না পারলেও প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর : তৎপরতার সঙ্গে দুর্গতরা যেন যথাযথ ত্রাণ পান

Must read

মনিশ কীর্তনীয়া, খানাকুল : আয়োজন ছিল সম্পূর্ণই। প্রশাসনিক তৎপরতাও ছিল। কিন্তু শেষ বেলায় বাধ সাধল বৃষ্টি। ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টার উড়তে না পারায় খানাকুল আসতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া, হুগলি আকাশপথে পরিদর্শনের কথা ছিল তার। তা হলো না বটে। তিনি সড়ক পথে চলে যান হাওড়া উদয়নারায়নপুর আমতায়। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন বন্যা পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন-সংসদের অচলাবস্থার জন্য মোদি সরকারের অহংকারী ও বেপরোয়া মনোভাবকেই দায়ী বিরোধীদের

খানাকুলে আসতে না পারলেও প্রশাসনিক কর্তাদের যথাযথ নির্দেশ দিয়েছেন বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর। সঙ্গে তীব্র অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে ডিভিসি জল ছাড়া বাংলায় ‘ম্যান মেড’ বন্যা। খানাকুলের মানুষ অপেক্ষায় ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে একবার দেখবে বলে। সকাল থেকেই মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছিলেন হেলিপ্যাড এর আশেপাশে। গ্রামগুলোতেও ছিল উৎসাহ। কিন্তু বাধ সাধলো দুর্যোগ মন খারাপ গ্রামবাসীদের।

আরও পড়ুন-আড়িকাণ্ডে জবাব চেয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় রাজ্যসভায় সাসপেন্ড ৬ তৃণমূল সাংসদ

বাচ্চা-বয়স্ক এবং মহিলারা দলবেঁধে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের গ্রামে আসবেন এলাকা ঘুরে দেখবেন। হলো না। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তৎপরতার সঙ্গে বন্যা দুর্গত এলাকায় গুলি যথাযথ ত্রাণ পায়। জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে, কোথায় কী সমস্যা আছে তা দেখিয়ে নিয়ে রিপোর্ট করতে এবং সেই অনুযায়ী সব কিছুর ব্যবস্থা করতে। খানাকুলের যাতায়াতের পথে দেখা গেল বহু জায়গা জলমগ্ন কোন কোন জায়গায় কোনমতে মানুষজন বাস করছেন জল নামেনি ডুবে আছে গোটা মার্কেট চাষের জমি ঘর বাড়ি সবই প্রায় জলের তলায়। এর উপর দোসর ডিভিস-র ছাড়া জল তার সঙ্গে আবার শুরু হওয়া অঝোর ধারায় বৃষ্টি। দুর্যোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। প্রশাসন ত্রাণ-কাজে হাত লাগালেও অপরিকল্পিতভাবে ছাড়া জলে দুর্ভোগ বাড়ছে। তা নিয়ে বারে বারে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কাজ হবে কিনা কে জানে।

Latest article