সংবাদদাতা, দিঘা : দল হোক বা সরকার, কঠিন সময় হোক কিংবা ভাল সময়— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরের কর্মসূচিতে খানিক পরিবর্তন হয়ে গেল। আগামী ৩ এপ্রিল বিকালে কপ্টারে কলকাতা থেকে দিঘায় পৌঁছানোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ফেরার কথা ছিল ৬ তারিখ।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর অসভ্যতা, অমর্ত্য বিদেশে তবু দেখা করার নোটিশ
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ৩ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে খেজুরি ১ ব্লকে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন অনুষ্ঠান করবেন। ওইদিন দুপুর ১২টায় খেজুরি ১ ব্লকের লাখি গ্রামপঞ্চায়েতের ঠাকুরনগর শ্রীকৃষ্ণ মেলা প্রাঙ্গণে সেই সরকারি কর্মসূচি হবে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় চলে যাবেন। ৪ তারিখ দিঘায় রয়েছে রাজনৈতিক কর্মিসভা। ওইদিন তিনি দিঘায় রাত্রি যাপনও করবেন। ৫ তারিখ কলকাতা ফিরবেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে খেজুরিতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি কেন?
আরও পড়ুন-জি-২০ তে গুরুত্ব বাংলার কৃষ্টিকে
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, খেজুরির পাশেই রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা নন্দীগ্রাম। অপরদিকে রয়েছে ভগবানপুর বিধানসভা। এই দুই বিধানসভার পাশাপাশি খেজুরিতেও একুশের নির্বাচনে জোড়া ফুল শিবিরের বিজয় পতাকা ওড়েনি। কাজেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খেজুরিতে সভা করে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা এবং বিরোধীদের বার্তা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই জায়গাকে বেছে নিয়েছেন। যাকে বলে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।
আরও পড়ুন-“মহানায়ক আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন”
মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবরে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক মহলে। এখন নতুন সফরসূচিতে দেখা যাচ্ছে ৫ তারিখ জনসংযোগ কর্মসূচির কোনও উল্লেখ নেই। ৪ তারিখ দিঘায় রয়েছে রাজনৈতিক কর্মিসভা তা সেরে পরের দিন কলকাতা ফিরছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানান, ওঁর প্রোগ্রামটা একটু বদলে গিয়েছে। ৩ তারিখ এসে খেজুরির ঠাকুরনগরে একটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। তারপর রাতে দিঘায় থাকবেন। পরের দিন দলীয় কর্মিসভায় যোগ দেবেন।