লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করাতে চেয়ে মহিলাদের ভিড় উপচে পড়ছে এই ঘটনা রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। মালদহে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায় বুধবার দুয়ারে সরকার নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে ভিড় এড়াতে পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন-ভোট পরবর্তী রায় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিজেপিকে কুণাল ঘোষের তোপ
লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদনের জন্য বুথভিত্তিক ফর্ম দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, সন্ধে ৭টা থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আধঘণ্টার একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে তিনি জেলাশাসকদের সাফ জানান, “কোনওভাবেই ক্যাম্পগুলিতে ভিড় করা যাবে না। প্রয়োজনে আপনারা বুথভিত্তিক আবেদনপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার করুন। তাহলে ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।” উল্লেখ্য, এতদিন ওয়ার্ড ভিত্তিক আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছিল। এর সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ভিড়ের কারণে কী ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন মুখ্যসচিব।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ভিড়ের বিষয় বুধবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “শিবিরে বেশি ভিড় করবেন না। কোভিড বিধি মেনে চলুন। হাতে এক মাস সময় আছে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে”। প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও ৩-৪ দিন বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে জানিয়ে দেন, “দুয়ারের সরকারের ক্যাম্প ছাড়া অন্য কোথাও থেকে ফর্ম নেবেন না। ওই ফর্মে রয়েছে ইউনিক নম্বর। সেই নম্বরের ফর্ম পূরণ করেই জমা দিতে হবে”।
আরও পড়ুন-লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে আশার বার্তা শোনালেন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে দুয়ারে সরকারের ২২ হাজারের বেশি ক্যাম্প চলছে। ৩ দিনেই ৪৬ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।