প্রতিবেদন : সোমবার সকালে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এসেছিল বুড়ি। তা নিয়ে তুলকালাম হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। প্রথমে দর্শকরা শিম্পাঞ্জির কাণ্ডকারখানায় মজা পেলেও পরে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। তবে মঙ্গলবার বুড়ি ছিল স্বাভাবিক মুডেই। সকালে প্রাতরাশ সেরে নিজের মতো ঘোরাফেরা করেছে খাঁচার চারপাশে। কোনওরকম অবাধ্য আচরণ করেনি বলেই জানিয়েছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত। বুড়ি এমনিতে বাধ্য স্বভাবের। তাহলে কেন বেরিয়ে গিয়েছিল?
আরও পড়ুন-জগন্নাথদেবের ঐতিহ্যবাহী স্নানযাত্রায় ভক্তদের উন্মাদনা, দু’বছর পর মাতল মাহেশ
অধিকর্তা জানিয়েছেন, বুড়ি তার কিপারকে খুব পছন্দ করে। তাঁর হাত ধরেই ঘুরে বেড়ায় খাঁচার চারপাশে। কিপারকে উল্টোদিকে খাঁচার বাইরে দেখে তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই কারণেই বেরিয়ে পড়ে। দিন ১২ আগেও খাঁচা থেকে হঠাৎ বেরিয়ে পড়েছিল ওই শিম্পাঞ্জি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই খাঁচায় ঢুকে পড়ে। তবে বারবার বুড়ি যাতে খাঁচা থেকে বেরিয়ে না পড়ে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে চিড়িয়াখানার তরফে। ওই শিম্পাঞ্জির খাঁচায় আরও তিন সদস্য থাকে। কোনওভাবেই যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই শিম্পাঞ্জির খাঁচার পাঁচিল উঁচু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দর্শকদেরও সতর্ক করা হবে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা।