ভবিষ্যতে কোন পেশায় যাবে সে বিষয়ে ভাববার সময় যারা শিক্ষকতা, গবেষণা, ডাক্তারি- গতানুগতিক চাকরি বা বিশেষ চাকরি ইত্যাদিকেই বেছে নিতে চাও তাদের পক্ষে যেমন নিষ্ঠা, অধ্যবসায়, জেদ এগুলোই প্রধান অবলম্বন হতে পারে, তেমনই যাদের ঝোঁক-প্রবণতা-ভালবাসা অন্যদিকে, গতানুগতিকতার বাইরে, তারা ভাবতে পার অন্যভাবেও। এখানেও নিষ্ঠা, অধ্যবসায়, জেদের জোরে পেশাগত সাফল্য হতে পারে অনেক উজ্জ্বল।
তাই জীবনে কী হতে চাও, কী করতে সত্যিই তোমার ভাল লাগে এই প্রশ্নের উত্তর জানাটা সবার আগে দরকার, সেইমতো কর্মজীবনে কী করবে সেটা ঠিক করতে হবে। অনেক ছাত্রছাত্রীর ছোট থেকে ছবি আঁকা, ছবি তোলা, গান করা, কবিতা বা গল্প লেখার শখ থাকে। নিজের শখটাকে নেহাতই অবহেলা না করে পেশাবাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। অবসর সময়টা ভাল করে ভেবে নিতে পারো ঠিক কোন দিকটাকে তুমি ভবিষ্যতে কর্মজীবনের জন্য বেছে নিতে চাও। ভাবতে হবে কোন কাজটা করতে তোমার ভাল লাগে এবং তার জন্য নতুন কিছু শেখার আনন্দও পাও।
আরও পড়ুন-কৌশিকী অমাবস্যায় এবার প্লাস্টিক বর্জন
জীবনে ঠিক কী ধরনের কাজ করলে তোমার মনে হবে জীবনটা অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও বেশ ভাল লাগে। ছবি আঁকতে ভাল লাগে? ছবি তলুতে ভাল লাগে? গান গাইতে ইচ্ছে করে? সাজতে ভাল লাগে? নাকি শুধুই ঘুরে বেড়াতে? এরকম প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে খুঁজে বের করতে হবে। দরকার হবে সাহস নিয়ে সেই পথে পা বাড়াবার। ঘুরতে ভাল লাগলে ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়তে পার, ছবি তুলতে ভাল লাগলে উচ্চতর শিক্ষার বিষয় হতে পারে ফোটোগ্রাফি। নিজে সাজতে ভাল লাগলে বিউটিশিয়ান কোর্স করে কর্মজীবনে এগোতে পার, এতে অন্যকেও সাজাতে পারবে নিজেরও সাজার সুযোগ থাকবে। অভিনয় ভাল লাগলে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বাছাই করতে দ্বিধা করো না।
আরও পড়ুন-থাইল্যান্ডের নাইট ক্লাবে ভয়াবহ আগুন, মৃত ১৩
এইভাবে নিজের পছন্দের বিষয়টা ভেবে নাও। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যেটা করতে চাও কোনও কারণবশত সেটাকে পেশা করে তুলতে না পারলে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। পেশার পাশাপাশি অন্য কাজও তো করা যায়। এই পৃথিবীতে আজ সবকিছুই সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিজের ভেতরের সত্যিকারের চাওয়াকে খুঁজে বের করা। একটা পরীক্ষায় ভাল হলেই যে জীবনে সফল হওয়া যায় কিংবা পরীক্ষায় ভাল ফল করতে না পারলে জীবনই ব্যর্থ এমন ভাবনাটা আসলে ভাবনারই ব্যর্থতা। তাই ব্যর্থ ভাবনাগুলোকে মন থেকে সরিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে চলতে হবে।