শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ভারত। ভারতীয় দলের নীল জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন বাংলার রবি কুমার (Rabi Kumar)। দলকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর ১৮ বছরের এই বাঁ-হাতি জোরে বোলার।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু কলকাতায় ক্রিকেটের আসল পাঠ নেওয়া শুরু হাওড়া ইউনিয়ন ও বালিগঞ্জ ইউনাইটেডের কোচ অমিতাভ রায়ের কাছে। তিনি বলছিলেন, ‘‘তিন-সাড়ে তিন বছর আগে অরবিন্দ ভরদ্বাজ নামের এক ব্যক্তি আমার কাছে নিয়ে আসে রবিকে (Rabi Kumar)। আলিগড়ে ওকে নাকি কোচিং করাত ভরদ্বাজ। কিন্তু ক্রিকেটে অনেক পিছিয়ে ছিল। আমার আছে আসার পর গত তিন বছরে শুধু পরিশ্রম করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। প্রথম দু’বছর হাওড়া ইউনিয়নে খেলে। গত বছর ওকে প্রথম ডিভিশন ক্লাব বালিগঞ্জ ইউনাইটেডে খেলাই। শরীরে জোর কম ছিল। তাই ওকে ড্রিল করিয়ে, কঠোর ট্রেনিং করিয়ে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। রবি নেটেও পড়ে থেকেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শুরুতে ওর হাতে আউটসুইং থাকলেও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এখন রবি দু’দিকেই সুইং করাতে পারে। আউটসুইংয়ের উপর ইয়র্কারও রপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন – দল নির্বাচনে প্রভাব খাটাই না, একহাত ক্ষুব্ধ সৌরভের
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে আমাকে ফোন করে জানতে চাইল, ‘স্যার আমার বোলিং কেমন হচ্ছে?’ আমি রবিকে বললাম, ডেলিভেরির সময় বোলিং-আর্ম কানের আরও কাছে রাখার চেষ্টা করো। বাকি সব ঠিক আছে।” কোচের সংযোজন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে সময়ের ব্যবধানের জন্য ফোন করতে ওর অসুবিধা হয়। তবে ফাইনালের আগে ফোন করলে রবিকে বলব, ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ব্যাকফুটে শট খেলতে পছন্দ করে। ওদের বেশি সামনের পায়ে খেলাবে।” ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে বাংলার রবির অবদান থাকুক, চান তাঁর কোচ। একই সঙ্গে অমিতাভ চান, আইপিএল নয়, লাল-বলের ক্রিকেটে মন দিক তাঁর ছাত্র। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলার রাস্তা যে তাহলে মসৃণ হবে।