অনুরাধা রায়: রাজবাড়ি, গ্যাসের বাতি। মেঠোপথ দিয়ে একচালার প্রতিমা দর্শন। গণেশ পাইন, গোপেশ্বর পাল বিখ্যাত শিল্পীদের একঝলক দেখা। আর জব চার্নকের সঙ্গে সাক্ষাৎ। এভাবেই কি পৌঁছে যেতে ইচ্ছে করে কলকাতার জন্মলগ্নে? জানতে ইচ্ছে করে সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলকাতা— তিন গ্রামের আজকের তিলোত্তমা হয়ে ওঠার কাহিনি? পুরনো সেই দিনের কথাই বলবে দমদম পার্ক তরুণ দল। শিল্পভাবনায় যেখানে ধরা দেবে নতুন-পুরনোর পার্থক্য। দুর্গাপুজোয় এবার তাদের থিম ‘সিটি অফ জয়’। শিল্পী প্রদীপ দাস।
আরও পড়ুন-পুজোয় রাতভর মেট্রো-পরিষেবা
একচালায় যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন তৎকাল-বর্তমানের আস্ত দুই কলকাতাকেই। সাবর্ণ রায়চৌধুরির সেই রাজবাড়ি নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন। কলকতা গড়ার কারিগর জব চার্নকের মূর্তি রয়েছে মণ্ডপের মূল দরজায়। বিখ্যাত প্রতিমা শিল্পী গোপেশ্বর পালের মূর্তি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে মণ্ডপের ভিতরে। তৈরি করা হয়েছে গণেশ পাইনের মূর্তিও। শিল্পীর ভাবনায় এই মণ্ডপেই দর্শকদের চোখের পলকে বদলে যাবে প্রেক্ষাপট। পুরনো কলকাতা দিয়ে প্রবেশ করে তাঁরা দেখবেন শহরের নতুন রূপ। এই থিম ভাবনা কেন? পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা ও কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ প্রসাদ জানালেন, দুর্গোৎসব ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এবারের থিম হিসাবে আমরা বেছে নিয়েছি ‘সিটি অফ জয়’।