‘তারিখ পে তারিখ’ না, বিচারব্যবস্থার ঢিলেমিতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়

Must read

‘দামিনী’ সিনেমায় সানি দেওলের সংলাপ মনে করিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (CJI Chandrachud)। বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের কড়া বার্তা চন্দ্রচূড়ের। একইসঙ্গে আইনজীবীদের কাছে তাঁর অনুরোধ, তাঁরা যেন বারবার মুলতবি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টকে ‘তারিখ পে তারিখ’ (তারিখের পর তারিখ) আদালতে পরিণত না করেন।

প্রধান বিচারপতি (CJI Chandrachud) শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি বারের সদস্য আইনজীবীদের অনুরোধ করছি যে, সত্যিই প্রয়োজন না হলে মুলতবি চাইবেন না। আমি চাই না এই আদালত একটি ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালতে পরিণত হোক। এরকম হলে আমাদের আদালতে নাগরিকরা আস্থা হারাবে।” তিনি প্রকাশ করেছেন যে শুধুমাত্র শুক্রবারেই ১৭৮টি মুলতুবি স্লিপ জমা  করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি, এখন কোথায় কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রী? খোঁচা আপের

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন যে, প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে মাত্র একমাসেই মোট ৩,৬৮৮টি মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ এসেছে আইনজীবীদের কাছ থেকে। তিনি আরও জানান, ৩ নভেম্বরের জন্য আমাদের কাছে ১৭৮টি মামলার শুনানি মুলতবি রাখার অনুরোধ রয়েছে। অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দিনে গড়ে ১৫০টির বেশি মামলা মুলতবি রাখার স্লিপ জমা পড়েছে আমাদের কাছে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এইভাবে মোট ৩,৬৮৮টি স্লিপ জমা পড়েছিল। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করা হচ্ছে।

চন্দ্রচূড় জানান, একদিকে আইনজীবীরা প্রতিদিনই জরুরি তালিকাভুক্তির জন্য বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও অন্যদিকে মামলা তালিকাভুক্ত হলে মুলতবি চান। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পতির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, সেপ্টেম্বর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫৮টি করে মামলার উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতেও বলা হয়েছে। কিন্তু, অন্যদিকে আবার শুনানি স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। একদিকে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করা হয়, কিন্তু, অন্যদিকে মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়। এতে আদালতের উপর নাগরিকরা আস্থা হারাবেন। দেশে আমাদের আদালতের খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

Latest article