জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে। আমন্ত্রণপত্র প্রথাগত ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ নামে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার, ধনধান্য স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “আমি শুনলাম ইন্ডিয়া নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। আরে ভারত তো আমরা বলিই। এতে নতুন কী আছে!”
দেশের নাম ইন্ডিয়ার পরিবর্তে পাকাপাকিভাবে ভারত করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “রাষ্ট্রপতি জি-২০ সম্মেলনের (G-20) জন্য যে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সেই আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত লেখা হয়েছে। হঠাৎ করে কী হল যে দেশের নাম বদলে দেওয়া হবে! আমরা ইংরেজিতে বলি ইন্ডিয়া আর হিন্দিতে বলি ‘ভারত কা সংবিধান’। আমরা বলি—ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো। কিন্তু তা বলে ইন্ডিয়া নাম ত্যাগ করতে হবে? ওই নামে তো সারা বিশ্ব চেনে?”
আরও পড়ুন- শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করানোর চক্রান্ত, রাজভবনের সামনে ধর্না দেব, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপি বিরোধী জোটের নাম I.N.D.I.A. হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব ইন্ডিয়া নাম নিয়ে টিপ্পনি করছেন। কখনও ঔপনিবেশিক, কখনও বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে দেখানো চেষ্টা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের আমন্ত্রণ পত্রে ‘ভারত’ নাম সেই বিতর্কেই নতুন মাত্রা পেয়েছে। এদিন মোদি সরকারের নাম বদলের সংস্কৃতিকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এঁরা ইতিহাস বিকৃত করছে। কোন দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বদলে দেবে। যা ইচ্ছা বদলে দিচ্ছে। দেশের ঐতিহাসিক সৌধগুলির নামও বদলে দিচ্ছে।”