রবি ঠাকুরের ছবি হাতে নিয়ে মুখে সাদা কাপড় বাধা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, তীব্র ধিক্কার জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রাপ্তির ফলকে নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এখনই ফলক সরিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লেখা ফলক না বসালে বিশ্বভারতীতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিশ্বভারতীর সামনে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু তাও সরেনি ফলক।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লেখেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বে ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী (বর্তমানে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত) তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার বর্তমান কর্তৃপক্ষ এই উপলক্ষে স্মারক ফলক সাজিয়েছে, যাতে উপাচার্যের নামও লেখা আছে কিন্তু গুরুদেবের নাম নেই!!
এটি রবি ঠাকুরকে অপমান করা এবং আমাদের জাতির প্রতিষ্ঠাতাদের ঔপনিবেশিক বিরোধী ঐতিহ্য-সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে ছোট করে দেখানো। অহংকারী, আত্ম-প্রচারকদের এই প্রদর্শনকে অবিলম্বে সরানোর জন্য এবং গুরুদেবকে দেশ যে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেয় তা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিক কেন্দ্রীয় সরকার।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ সৃষ্টি
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সব মহলে নিন্দা ঝড় উঠেছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রাক্তনীদের একাংশের পক্ষ থেকে ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নালিশ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। এই বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।