হাওড়ায় (Howrah) রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা বিজেপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে এই অশান্তির পিছনে যারা রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আবেদন করলেন।
বৃহস্পতিবার রামনবমীর দিন গঙ্গাপাড়ে অশান্তির ঘটনায় শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, “গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। বিজেপির এটা একটা পরিকল্পনা ছিল যেমন করেই হোক দাঙ্গা লাগাতেই হবে। অন্তত ১০০ টা জায়গায় বিজেপি প্ররোচনা দিয়েছে। হাওড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এই অশান্তির নেপথ্যে বিজেপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কড়া হাতে হাওড়ার কাজিপাড়ার অশান্তি মোকাবিলার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও গ্রেফতার হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা কখনই বরদাস্ত করবে না প্রশাসন। এই অশান্তির মাথাদের খুঁজে বের করব। আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। আমরা অ্যাকশন নেবই। মাথা ঠান্ডা রাখুন। নাটের গুরুরা টাকা দিয়ে দাঙ্গা লাগায়।”
আরও পড়ুন: চার বছর পর দেশের মাঠে আজ আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
একইসঙ্গে পুলিশের ব্যর্থতা কথা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বারবার করে বলা হয়েছিল ওই এলাকায় যেন মিছিলের অনুমতি না দেওয়া হয়। তারপর ওই জায়গা থেকে মিছিল গেছে। অশান্তি বাধানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মিছিলের রুট বদল করা হয়। সংখ্যালঘুদের এলাকায় ইচ্ছা করেই ওরা ঢুকেছিল। রামজান মাসে ইচ্ছা করে হামলা করেছে। বন্দুক-অস্ত্র নিয়ে গিয়ে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে।” এরসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই ঘটনায় যাদের দোকান ভেঙেছে রাজ্যসরকার তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করবে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হাওড়ার কাজিপাড়ায় রাম নবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দফায় দফায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। হাওড়ার ক্যারি রোড সংলগ্ন কাজিপাড়ায় রাম নবমীর মিছিল যাওয়ার সময় গন্ডগোল হয়। দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।