বাংলার বিরুদ্ধে নীতি বহির্ভূত কাজ করতে চাননি নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে পদত্যাগ করেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনগর্জন সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি, অরুণ গোয়েলকে স্যালুট জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজনৈতিকভাবে বাংলায় শাসকদলের সঙ্গে পেরে না উঠে, সব দিক থেকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার উপর অত্যাচার ও অন্যায় সহ্য করতে না পেরে অরুণ ইস্তফা দিয়েছেন। এ জন্য তিনি তাঁকে স্যালুট করছেন।
কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এসেছিল গত সপ্তাহে। সেই টিমে ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। শনিবার, অরুণ ইস্তফা দেওয়ার পরেই জানা যায়, বাংলায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও বেশি দফায় ভোট করার কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র মানতে পারেননি তিনি। সেই কারণে পদত্যাগ। এই ঘটনা নিয়েই সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে দিল্লির নেতাদের এবং তার শীর্ষ কর্তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য আমি অরুণ গোয়েলকে স্যালুট জানাই। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারা কী করতে চায়৷ নির্বাচনের নামে তারা ভোট লুট করতে চায়।“ বিষয়টি নির্বাচনের নামে ‘কলঙ্ক’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- তালিকায় চমক ইউসুফ-রচনা-কীর্তি, লোকসভার ৪২ প্রার্থী নিয়ে ব্রিগেডে ব়্যাম্পে তৃণমূল সুপ্রিমো
সভা মঞ্চ থেকে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “বিচারবিভাগকে করজোড়ে বলছি, জনগণ আপনাদের কাছে বিচারের জন্য যায়, আপনারা বিজেপির কুর্সিতে বসে বিচার করবেন না“। তৃণমূল সভানেত্রী তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “দেখলেন তো, ওঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। কেউটে সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। চেয়ারে বসেছিল কেউটে, বাইরে বেরিয়ে গোখরো। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে বাবুর।“