তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ হল ‘বিজেপির উস্কানি কমিটি’

Must read

গেরুয়া শিবিরকে ধুয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ তুলে রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে বিজেপি (Mamata Banerjee slams BJP) । বুধবার বাংলায় এসেছে এই টিম। বিজেপির এই তথ্য অনুসন্ধাকারী দল রাজ্যে আসতেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসলে ‘বিজেপির প্রোটেকশন টিম’, উস্কানি কমিটি। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন, মণিপুর (Manipur) যখন জ্বলছে তখন কোথায় থাকে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম?

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee slams BJP) বলেন, “৬০ হাজারের বেশি বুথে ভোট হয়েছে। তারমধ্যে বড়জোর ৬০টি বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আমি দুঃখিত রাম-বাম-শ্যাম ও আরও একজন জোট বেঁধেছিল। প্ল্যান করে করেছে ওরা। তারপরও এত মিথ্যে বলছে!‌ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এসেছে ওদের। মণিপুর যখন জ্বলছিল, কোথায় ছিল এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম? ত্রিপুরায় ৯৩% আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। আমরা আক্রান্ত হয়েছিলাম। অসমে এনআরসি নিয়ে আমাদের টিমের ওপর হামলা হয়েছে। NRC নিয়ে অসম যখন জ্বলে ওঠে, তখন কী করছিল তথ্য অনুসন্ধানকারী দল? ওই সব জায়গায় কটা দল এখনও পর্যন্ত গিয়েছে? অথচ পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৫৪টি দল এসেছে।” এরপরই তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এসব কোনও তথ্য অনুসন্ধানকারী দল নয়, সব বিজেপির উসকানিতেই আসছে। ওদের আমরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং বলি না ওরা হল ‘বিজেপির প্রোটেকশন টিম’, উস্কানি কমিটি।”

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন: ভোট হিংসায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ-চাকরি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এর পাশাপাশি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “সব মৃত্যুই দুঃখজনক। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি শুধু নিজের দলের কথা বলছি না। তবে এই ১৯ জনের মধ্যে আমাদের দলেরই ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সকলেই পরিস্থিতির শিকার। আপনারা দেখবেন যে জায়গাগুলোতে অশান্তি হয়েছে, সেখানে ২০-২৫ বছর ধরে চিরাচরিতভাবে গন্ডগোল হয়ে আসছে। পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ড দিচ্ছি, তদন্ত করুন। নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাডা় পরিবারের একজনকে হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ হবে না।

Latest article