প্রতিবেদন : এবার কিন্তু মোদিবাবুরা জিতছেন না। ক’দিন আগে শেয়ারে ধস নামল। তারপর অমিত শাহ বলছেন, শেয়ারে ইনভেস্ট করুন। এবার যদি ওরা জিতবে, তবে কেন অমিত শাহ বলবেন, শেয়ারে টাকা জমাও। শনিবার আরামবাগের গোঘাট ও বিষ্ণুপুরের জোড়া সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিশানা করলেন বিজেপিকে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ইলেকশন চলছে, তুমি শেয়ারে টাকা ইনভেস্টের কথা বলছ কেন? কেন বলছ, শেয়ারে টাকা জমাও? পরে লাভ পাবেন। আসলে শেয়ার সব ধসে গিয়েছিল। এখন নিজেদের টাকা দিয়ে শেয়ার ঠিক করছে। ওই শেয়ারে যারা টাকা জমাবে, তাদের সব ধসে যাবে। কেউ জমাবেন না।
অঙ্কটা ক্লিয়ার : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, লোকে টাকা তুলে নিচ্ছে শেয়ার বাজার থেকে, সারা বিশ্ব টাকা তুলে নিচ্ছে। চার দফা ইলেকশন হয়ে গিয়েছে, তাতে হারছে। ৫৪৩-এ ২০০-ও পাবে কি না সন্দেহ। বলেছিল না ইসবার ৪০০ পার। আমরা বলেছিলাম, ইসবার পগার পার? সিটটা কোথা থেকে পাবে? কর্নাটকে পাবে? ঘেঁচু। কেরালায় পাবে? কাঁচকলা। তামিলনাড়ুতে নো চান্স। উত্তর-পূর্ব ও হরিয়ানায় ঢুকতেই দেয়নি। দিল্লি পাবে? নো। রাজস্থান পাবে? অনেক কম। মধ্যপ্রদেশে যা পেয়েছিল, এবার অনেক কম। উত্তরপ্রদেশ আধা-আধি। পাঞ্জাব পাবে না। বিহার, ওড়িশাও পাবে না, বাংলাও পাবে না। তাহলে আসবে কোথা থেকে? অঙ্কটা ক্লিয়ার।
আচরণবিধি লঙ্ঘন : তৃণমূলনেত্রী এদিন অমিত শাহের শেয়ারে টাকা ইনভেস্ট করা প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন চলাকালীন এ-কথা তিনি বলতে পারেন না। এটা পরিষ্কার আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। শেয়ারে টাকা ঢালবেন কি ঢালবেন না, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার। আমি বুঝি না। কিন্তু মোদি এবার আসছেন না।
আরও পড়ুন- অধীরকে খাড়্গের কড়া বার্তা, জোট-ধর্ম পালন করুন নইলে দলের বাইরে যান
বাংলায় মহাঘোঁট : তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে শুধু বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের মহাঘোঁট আছে। দিল্লিতে আমরা ইন্ডিয়ার সঙ্গে আছি। এবার ইন্ডিয়ার সরকার, আমরাই গড়ব। কিন্তু এখানে একটা ভোটও সিপিএম-কংগ্রেসকে দেবেন না। কেন্দ্রে ইন্ডিয়া সরকার গড়তে এখানে আমরা একাই একশো।
ভোটের বাক্সে ভোকাট্টা : তাঁর কথায়, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দেশ স্বাধীন করেছিল বাংলা। এবারও দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। মোদিকে সরাতে হবে। মনে রাখবেন, এই নির্বাচনে যদি ওরা জেতে আর সংবিধান থাকবে না। ভোট হবে না। আপনাদের অধিকার থাকবে না। তাই বুঝে-শুনে নিজের ভোট দেবেন। মোদিকে নিশানায় তিনি বলেন, বাঙালিরা তোমাদের পছন্দ করে না। তোমরা শুধু বিজ্ঞাপনে প্রচুর টাকা খরচ করো। অথচ গরিবদের দেওয়ার টাকা নেই। মনে রাখবেন, টাকা খরচ করে মন পাওয়া যায় না। এটা হৃদয় দিয়ে হয়। তাই এবার ভোকাট্টা। ভোটের বাক্সে পুরো কাট্টি করে দিন।
এই তো হচ্ছে নেতা : এদিন বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেন বিজেপির প্রার্থীকে। বলেন, ওই ছেলেটাকে ভোট দিয়ে কী লাভ? আমি ওর নাম করতে চাই না। সুজাতা কীভাবে বিয়ে করেছিল, ও জানে। অবশ্য কেউ কাউকে ভালবাসলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি তাই নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমার কাছে অনেক ফটো আছে। সুজাতাকে আমি যদি সেই ছবিগুলো দিয়ে দিই তাহলে ও ইলেকশন ছেড়ে আগে যাবে ঝগড়া করতে। এই তো হচ্ছে ওদের নেতা। এর থেকে ন্যাতার সম্মান অনেক বেশি। যে এখান থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছে তার ছ’টা বাড়ি। পাঁচ বছরে কোথাও যায়নি। পাঁচ বছর পর আবার চলে এসেছে ভোটে দাঁড়াতে। এবার আর অত সস্তা না!