গত শনিবার সিওপিডির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সোমবার দুপুরেই তাঁকে ইনভেন্সিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattachary) দেখতে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে গেলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভার বাদল অধিবেশনের কাজ সেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যান আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি। জানতে চান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা।
পরে হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “ওঁর জ্ঞান আছে। হাত নেড়ে সাড়া দিচ্ছেন। আমার দেখে মনে হল, এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। ওঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে, বাইপ্যাপ চলছে। তবে আমি তো ডাক্তার নই। তাই সবটা বলতে পারব না। মেডিক্যাল বোর্ডে যাঁরা আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।” একই সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসা পরিষেবার প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট চলছে। ওঁরা সকলে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে সোমবার সকালেই সিটি স্ক্যান সহ একাধিক পরীক্ষা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সেই রিপোর্টে দেখেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই তাঁর ভেন্টিলেশন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর বেলা গড়ালে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন- ‘INDIA’ ক্ষমতায় আসছে বললেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়, জানালেন সব অপরাধের বিচার হবে
গত শনিবার দুপুরে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে চিকিৎসকদের দাবি আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো রয়েছেন তিনি। শরীরে কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। চিকিৎসকদের ডাকে ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এদিকে সোমবার সকালে বুদ্ধদেবের ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রয়েছে বলে হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে খবর। বর্তমানে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেমন আছেন শনিবারই ফোনে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সোমবার নিজেই উপস্থিত হন হাসপাতালে।