সুমন তালুকদার, বসিরহাট: মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী (Hingalganj- Mamata Banerjee) আসছেন হিঙ্গলগঞ্জে। তাঁর সফর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj- Mamata Banerjee) বনবিবি ও টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। দুপুর বারোটা নাগাদ হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা এলাকার সামশের নগরে বনবিবির মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় ২০০ উপভোক্তার হাতে বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেবেন জনসভা থেকে। তারপর টাকিতে রাত্রিবাস করবেন। শনিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হেলিকপ্টার নামিয়ে পরীক্ষা চালান প্রশাসনিক কর্তারা। ছিলেন জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, জেলার পুলিশ সুপার ড. জবি থমাস, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাট তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। বনবিবির থানও পরিদর্শন করেন তাঁরা। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠকও হয়। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী জানান, ‘সামশের নগরের প্রায় দেড়শো বছরের জাগ্রত বনবিবি মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখানে একটি প্রকাশ্য জনসভা করবেন ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন করবেন। মঞ্চ থেকে জাল, হাঁড়ি ও মাছ সংরক্ষণে আইস ব্যাগ বিলি করবেন। বিধবা পল্লির মহিলাদের জন্য কিছু প্রকল্পে সাহায্য করবেন। কালীতলায় জনসভা করার পর আকাশপথে আসবেন টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে পিএইচই বাংলোয় গিয়ে রাত কাটাবেন। জরুরি বৈঠকও করবেন। ৩০ নভেম্বর সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর হেলিকপ্টারে দমদমের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।’ দলনেত্রী আসার অপেক্ষায় রয়েছেন সুন্দরবনবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ছাড়াও পর্যটনে নতুন দিশা দেখছে বসিরহাটবাসী। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় হওয়ায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখর মেজিয়ার সভা