প্রতিবেদন : আজ সোমবার বিকেল ৪টেয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা-সহ বাংলার সবক’টি পুজো কমিটির (Puja Committee) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। যাকে মেগা পুজো বৈঠক বললেও অত্যুক্তি হবে না। কলকাতা ও তার আশপাশের পুজো কমিটিগুলি (Puja Committee) আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির থাকলেও তার বাইরে গোটা বাংলা জুড়ে পুজো কমিটির কর্মকর্তারা হাজির থাকবেন ভার্চুয়ালি। একইসঙ্গে সবক’টি জেলার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও হাজির থাকবেন এই পুজো বৈঠকে। বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ায় তাকে সম্মান জানিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। এই শোভাযাত্রায় যোগ দেবেন ইউনেস্কোর দু’জন প্রতিনিধিও। সবমিলিয়ে ২০২২-এর দুর্গাপুজো শাস্ত্র অনুযায়ী ১ অক্টোবর হলেও আসলে এবছর বাংলায় মা দুর্গার আবাহন শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। বাঙালির-বাংলার পুজো শুরু ওই দিন থেকেই। পরের একমাস বাংলা জুড়ে হবে উৎসব।
আজকের পুজো বৈঠক অন্যান্যবারের থেকে বিভিন্ন অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এবার কলকাতা-সহ গোটা বাংলায় পুজো উৎসব শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই তাই বাড়তি প্রশাসনিক তৎপরতা প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার প্রতিবছর পুজো কমিটিগুলোকে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। ২০২২-এর পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারের কী ভাবনা রয়েছে তা আজকের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেবেন। ফলে দুর্গাপুজোর নান্দনিক দিক- আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়াও বাজেট একটা বড় বিষয়। কোভিড-পরবর্তী পৃথিবীতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যা গভীর ছাপ ফেলেছে সর্বত্র। গত বছর রাজ্য সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাংলার পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ রাজ্যের জিডিপির ক্ষেত্রে যা ২.৫৩%। ফলে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এই বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞকে সামাল দিতে গেলে যে ধরনের প্রশাসনিক ও পারিপার্শ্বিক সুষ্ঠু পরিবেশের দরকার হয় তা বজায় রাখতে বরাবরই তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের ভোটে ধূলিসাৎ বিজেপি
গোটা বাংলায় প্রায় ৩৪ হাজার রেজিস্টার্ড পুজো হয়। কলকাতায় বড় পুজোর সংখ্যা ২ হাজার ৫০০ আর মহিলা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা প্রায় ১৭০০।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সবকিছু মাথায় রেখেই নির্বিঘ্নে পুজোর পরিকল্পনা করে থাকেন। ২০২২-এর মেগা দুর্গাপুজোও যাতে নির্বিঘ্নে উতরে যায় তার জন্যই সকলকে নিয়ে আজ মেগা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।