সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া: সব পথ এসে মিলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায়। যেদিকে দু’চোখ যায় মানুষের ভিড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে হাঁটলেন জেলার সকল শ্রেণির নেতৃত্ব। একসঙ্গে হাত ধরে সবাই হাঁটলেন। যত সময় গেল চার কিলোমিটার র্যালি জনসুনামির চেহারা নিল। সীমার মাঝেও অসীম হয়ে উঠল সেই জনজোয়ার।
বুধবার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে হাওড়ায় পদযাত্রায় মধ্যমণি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo Mamata Banerjee)। অগণিত মানুষ এদিন পা মেলালেন জননেত্রীর পদযাত্রায়। ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইছাপুর জলট্যাঙ্কের মোড় থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি, প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের জেলাস্তর থেকে ব্লকস্তরের নেতৃবৃন্দ। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন- বিজেপির মহারাষ্ট্রে আয়কর দফতরের তল্লাশিতে এবার উদ্ধার ১৭০ কোটি!
রাস্তার দু-ধারেও ছিল হাজার হাজার মানুষের ভিড়। বাড়ির ছাদেও দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী করজোড়ে প্রণাম জানান তাঁদের। প্রতি নমস্কার জানিয়ে তাঁরা সঙ্গে থাকার বার্তা দেন। ‘দিদি’ ‘দিদি’ ডাক শুনে সম্মতিসূচক হাত নাড়েন মুখ্যমন্ত্রী (TMC Supremo Mamata Banerjee)। রাস্তার দু’পাশে এগিয়ে গিয়ে দলের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময় অনেকেই ব্যরিকেড টপকে মুখ্যমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। দলের অনেক মহিলা কর্মী দলনেত্রীর হাত স্পর্শ করে সঙ্গে থাকার শপথ নেন। এরই মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে থমকে গিয়ে অনেক কচিকাঁচাকেও স্নেহাশীর্বাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এইভাবেই ইছাপুর জলট্যাঙ্ক থেকে কদমতলা, পাওয়ার হাউস মোড়, পঞ্চাননতলা রোড হয়ে পদযাত্রা যখন বিকেল ৫টা নাগদ হাওড়া ময়দানে এসে পৌঁছয়, তখনও মিছিলের শেষভাগ প্রায় তিন কিমি পেছনে পাওয়ার হাউসের কাছে রয়েছে। এদিন ছাত্র-যুব ও মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সন্ধ্যায় ফের হাওড়ায় ফিরে এসে পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী আবার হাওড়ায় আসেন। হাওড়া ময়দানের বাঙালবাবুর ব্রিজ পেরিয়ে সিইএসসির অফিসের সামনে থেকে জি টি রোড ধরে পিলখানা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। তখনও তাঁকে দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়েছিল। প্রথম পদযাত্রার সময় এই পথ দিয়ে না গিয়ে বাঙালবাবুর ব্রিজ পেরিয়ে সালকিয়া এসি মার্কেট, গোলাবাড়ি থানার সামনে দিয়ে গিয়ে পিলখানা মোড় থেকে ডানদিকে বেঁকে চৌরাস্তার আগে জটাধারী পার্কের কাছে গিয়ে শেষ হয়েছিল। সন্ধ্যায় তিনি সিইএসসি অফিসের সামনে পিলখানা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন।