সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ফের কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়ল বিশ্বভারতীর। পিয়ার্সন হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে ‘বিভাগীয় তদন্তের’ অজুহাতে প্রথমে অবনমন, তারপরে অবসরের মেয়াদের আগেই অবসর গ্রহণে বাধ্য করে বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. শশাঙ্ক দেবনাথের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর সেই তুঘলকি আদেশ খারিজ হল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। অবশ্য আগেই অবনমনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন-নতুন সংবিধান? দাবি উঠতেই তীব্র প্রতিবাদ
২০০৭-এর ৩০ এপ্রিল সরাসরি চিফ মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে পিয়ার্সন হাসপাতালে নিযুক্ত হন শশাঙ্ক। ২০২০-র ১ ডিসেম্বরে বিশ্বভারতী তাঁকে চিফ মেডিক্যাল অফিসার থেকে মেডিক্যাল অফিসারে অবনমন ঘটালে হাইকোর্টে যান শশাঙ্ক। ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত স্থগিতাদেশ দেয়। ২১ সালের ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সেন্ট্রাল হেলথ মিনিস্ট্রি রুল উল্লেখ করে একটি পর্যবেক্ষণকে ঢাল করে বিশ্বভারতী ওই চিকিৎসকের পদমর্যাদার অবনমন ঘটায়। অথচ ২০১৬-র ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি রেজ্যুলিউশন করে ‘নন টিচিং মেডিক্যাল পোস্ট’-এর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬৫ করে। বিশ্বভারতী তাকে বাতিল করে।
আরও পড়ুন-হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু ৮৫ পাঞ্জাবের একাধিক এলাকা প্লাবিত
বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলেই চিকিৎসক সন্তোষ দাসকে (এমবিবিএস) ২২ সালে ৬৫ বছরে অবসর দেওয়া হয়েছে, সেই রেজ্যুলিউশন মেনেই। হাইকোর্ট চিকিৎসক শশাঙ্ককে চিফ মেডিক্যাল অফিসার পদে পুনর্বহাল করে সমস্ত সুবিধা দিতে বলেছে। অর্ডারের কপি না দেখে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।