হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু ৮৫ পাঞ্জাবের একাধিক এলাকা প্লাবিত

অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্মণঝোলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাদের ছেলে-সহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

Must read

প্রতিবেদন : অবিরাম বৃষ্টি এবং ভূমিধসে হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৮৫-তে পৌঁছেছে। আহতদের উদ্ধার এবং ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর আগামী কয়েকদিন দুই রাজ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। হিমাচলে সিমলার তিনটি এলাকা— সামার হিল, ফাগলি এবং কৃষ্ণনগর ভূমিধসের দ্বারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের উদাসীনতা, থমকে নির্মাণকাজ, বাইক থেকে ছিটকে নদীতে ২ শিশু

রাজ্যের জরুরি অপারেশন সেন্টার অনুসারে, ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি-সংক্রান্ত ঘটনায় মোট ২১৪ জন মারা গিয়েছে এবং ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। কাংড়া জেলা প্রশাসক নিপুণ জিন্দাল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কাংড়া জেলার ইন্দোরা ও ফতেহপুর মহকুমার বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ১,৭৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যা-কবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযান এয়ারফোর্স হেলিকপ্টার, সেনা-কর্মী এবং এনডিআরএফের সহায়তায় চলছে। সিমলা আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক সুরিন্দর পল জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকে বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত গত ৫০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-প্রাপ্য সম্মানটুকু পায়নি ধাওয়ান, দাবি শাস্ত্রীর

অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্মণঝোলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাদের ছেলে-সহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভূমিধসে রিসর্ট ধ্বংস হয়। পাউরির এসএসপি অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দুটি এবং বুধবার অন্য দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। পাউরি-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় মহাসড়ক আমসৌরে ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, পিপলকোটি ভরেনপানির কাছে ঋষিকেশ-বদ্রিনাথ জাতীয় সড়কের একটি অংশ ভেসে গিয়েছে। সড়কগুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-পিনাক সিলেটে বাংলার সোনা

অন্যদিকে, পাঞ্জাবে পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোশিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ-রাজ্যেও নতুন করে বন্যা-পরিস্থিতি। বন্যা-কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, ভাকরা এবং পং বাঁধের জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।

Latest article