প্রতিবেদন : রঞ্জি (Ranji) ফাইনালে হারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রতিভার খোঁজে নেমে পড়লেন বাংলার কোচ ও নির্বাচকরা। বুধবার থেকে ফের শুরু হয়েছে তিনদিনের প্রিমিয়ার লিগ। উত্তরের দেশবন্ধু পার্ক ও সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে হাজির হয়ে এদিন খেলা দেখলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla), সৌরাশিস লাহিড়ী ও শুভময় দাসেরা।
এঁদের সবার বক্তব্য এক, ‘‘যতক্ষণ না লক্ষ্যে পৌঁছই, থামার প্রশ্ন নেই।” সুতরাং সিএবি থেকে সরকারিভাবে বার্তা না পেলেও নিজেদের গরজে কাজ শুরু করে দিয়েছেন কোচ-নির্বাচকরা। সৌরাশিস যেমন সকালে দেশবন্ধু পার্কে দেখলেন বড়িশা ও কাস্টমসের ম্যাচ। পরে যাদবপুর মাঠে গিয়ে দেখেন ভবানীপুর ও মোহনবাগানের খেলা। এই মাঠেই সৌরাশিসের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় লক্ষ্মীর। তিনিও নতুন মুখের সন্ধানে মাঠ ঘোরা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:হরমনদের সামনে অস্ট্রেলিয়া-কাঁটা
অনেকদিন বাদে দেশবন্ধু পার্কে গিয়ে সৌরাশিস মাঠের চেহারা দেখে মুগ্ধ। সবুজ উইকেটে তিনটি স্লিপ ও একটি গালি নিয়ে সিএবি ম্যাচ হতে দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। ‘‘রঞ্জি (Ranji) পরিকল্পনায় এই ছবি সাহায্য করবে। হয়তো চট করে কারও কথা মাথায় আসবে। মনে হবে, আরে সেই ছেলেটা সবুজ উইকেটে ভাল শুরু করেছিল না?” এই মরশুমে আটজন ওপেনারকে দিয়ে চেষ্টা করেছে বঙ্গ টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষমেশ ৩২ বছরের একজনকে দুম করে রঞ্জি ফাইনালে নামিয়ে দিতে হয়েছিল। যার ফল ভুগতে হয়েছে বাংলাকে।
মরশুম শেষ। হাতে অখণ্ড সময়। বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস সিএবি সচিব নরেশ ওঝাকে তাঁর মাঠ ঘুরে খেলা দেখার পরিকল্পনার কথা বলায় তিনি উৎসাহ দিয়েছেন। দরকারে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। সৌরাশিস বলছিলেন, ‘‘আমরা ভাল খেলেও ট্রফি জিততে পারিনি। কিন্তু হতাশা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। পরের বছর কী করব সেটা এখনই ঠিক করে ফেলতে হবে। জানি, একদিনে সব হবে না। তবু আমরা মাঠের লোক। তাই ঘাসের কাছে ফিরতে চেয়েছিলাম।”
সৌরাশিস ও লক্ষ্মীর মতো এদিন মাঠ ঘুরে সিএবি প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখলেন বাংলার নির্বাচক চেয়ারম্যান শুভময়ও। রঞ্জিতে এত ওপেনার বদল, দলে ঘনঘন পরিবর্তনের আঁচ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে নির্বাচকদের দিকেও ধেয়ে আসছে। ফলে আদা-জল খেয়ে নতুন মুখ তুলে আনার দায়িত্ব নিয়েছেন সবাই মিলে।