সংবাদদাতা, দিঘা : প্রতি বছর জামাইষষ্ঠীর সময় গৃহস্থবাড়ি ও শাশুড়ি-জামাইদের কাছে টাটকা ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু এবার জামাইদের পাতে ষষ্ঠীর দিন টাটকা ইলিশ পড়বে না। ভরসা হিমঘরের বাসি ইলিশ ও ওড়িশা থেকে আসা খোকা ইলিশ। কারণ সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ আছে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন থেকে ট্রলারগুলো সমুদ্রে রওনা দেবে। আজই জামাইষষ্ঠী। ফলে ট্রলারগুলোর সমুদ্র থেকে টাটকা ইলিশ ধরে আনার কোনও প্রশ্নই নেই। ব্যান পিরিয়ডের মধ্যেই কাঁথি, দিঘা, রামনগর-সহ স্থানীয় বাজারে ছোট-বড় ইলিশের দেখা মিলছে।
আরও পড়ুন-ন্যায্য পাওনার দাবিতে লড়তে এবার পথেই হবে নামতে
তবে তা সংখ্যায় কম। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ব্যান পিরিয়ডে বাজারে ইলিশ আসছে দুটি উৎস থেকে। এক, দিঘা-শঙ্করপুর এবং পেটুয়াঘাটের হিমঘর। এই ইলিশ তুলনায় একটু বড় মাপের। দুই, ওড়িশার খোকা ইলিশ। তবে উৎস যা-ই হোক, সব ক্ষেত্রেই অসময়ের ইলিশের দাম বেশ চড়া। হিমঘরের একটু বড় সাইজের ইলিশ হাজার থেকে দু’হাজার টাকা দাম। ওড়িশার খোকা ইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, লকডাউনের জন্য গত দু’বছর অনেক জায়গায় সেভাবে জামাইষষ্ঠী হয়নি।
আরও পড়ুন-আগাছা
এবার তাই গৃহস্থদের কাছে জামাইষষ্ঠীর গুরুত্ব একটু বেশি। চাহিদার জন্যই দাম কিছুটা চড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিঘার এক হিমঘর মালিক জানান, কোল্ড স্টোরেজে এক কেজি বা বেশি ওজনের ইলিশ সংখ্যায় খুব কম ছিল। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ তুলনায় বেশি রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর ঠিক আগে আগে মার্কেটে এসেছে সেগুলোই। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, এবার জামাইষষ্ঠীতে ইলিশের জন্য কাঁথি ও এগরা মহকুমার ভরসা দিঘা-শংকরপুরের হিমঘর। বড় মাপের ইলিশ খাওয়াতে চাইলে কোল্ড স্টোরেজের বাসি ইলিশই একমাত্র উপায়।