প্রতিবেদন: অমিত শাহর পুলিশের অধীনে চরম অবনতি হয়েছে দেশের রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। খোদ দিল্লির বুকে ভরদুপুরে সকলের চোখের সামনে এক কলেজছাত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেল এক যুবক। প্রকাশ্যে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে মালব্যনগরে। শেষ পর্যন্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন-প্রচারই সার, ‘নমামি গঙ্গে’ অথৈ জলে!
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নার্গিস। তিনি দিল্লির কমলা নেহেরু কলেজের ছাত্রী ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই ইরফান নামে এক তরুণের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইরফানের সঙ্গে আত্মীয়তাও ছিল নার্গিসের। সম্প্রতি নার্গিসের পরিবার জানিয়ে দেয়, ইরফানের সঙ্গে তার বিয়ে হবে না। পরিবারের অমত থাকায় নার্গিসও ইরফানকে তার বাড়ির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তাতেই সাংঘাতিক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইরফান। প্রতিহিংসার কারণে সে নার্গিসকে খুনের পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন-ভাইরাল ভিডিওকাণ্ডে মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ১০
পুলিশ জানিয়েছে, নার্গিস দিল্লির অরবিন্দ পার্ক এলাকার নিয়মিত পড়তে যেত। ইরফান তাকে সেখানে একটি পার্কে ডেকে পাঠায়। নার্গিস পার্কে পৌঁছলে তার মাথায় রড দিয়ে একের পর এক আঘাত করে ইরফান। প্রবল রক্ত ক্ষরণে ঘটনাস্থলেই নার্গিসের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছিল ইরফান। যদিও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লির বুকে প্রকাশ্যেই এভাবে এক তরুণী খুনের ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দিল্লির মহিলা কমিশন। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ট্যুইট করেছেন, মালব্যনগরের মতো এলাকায় যেভাবে এক তরুণীকে পার্কে ডেকে খুন করা হয়েছে তা ভাবাই যায় না। এ ঘটনায় প্রমাণ হল যে, দিল্লিতে নারীদের কোনও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নেই। তা নিয়ে প্রশাসনের কোনও মাথাব্যথাও নেই।