সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে এবার তৈরি হচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব ইট (ইকো-ব্রিকস)। যা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হবে। দূষণের মাত্রা কমিয়ে প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তেই হাওড়ার সাঁকরাইলে রাজ্যের মধ্যে প্রথম অভিনব এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউনিসেফ ও সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু হয়েছে। আগামিদিনে সাঁকরাইলের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে ইট তৈরির এই কাজে শামিল করা হবে।
আরও পড়ুন-নতুন সেতু উদ্বোধনে আগামিকাল ফের ডায়মন্ড হারবার যাচ্ছেন অভিষেক
প্লাস্টিক দূষণ রুখতে তাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতেই তা থেকে পরিবেশ-বান্ধব ইট তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস ভরে নির্দিষ্ট চাপে ও তাপে রেখে তৈরি হয় এই ইকো-ব্রিকস। এরপর সিমেন্ট, কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও প্লাস্টার অফ প্যারিস মিশিয়ে এগুলি দিয়ে গাঁথনি করা হয়। এর ফলে প্লাস্টিককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে, তেমনই সৌন্দর্যায়নও ঘটে। সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে ১৬০ জন মহিলাকে নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁরাই এলাকাবাসীদের প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতন করার কাজ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের দিয়ে তৈরি করানো হচ্ছে ওই ইকো-ব্রিকস।
আরও পড়ুন-পুরীতে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন শপিং মলে আগুন, পুড়ে ছাই বহু দোকান
এই ব্যাপারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাঁকরাইলের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নাজিরুদ্দিন সরকার জানান, ‘‘আমাদের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে। এবার আরও বড় আকারে কাজ শুরু হবে। প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। ইউনিসেফ-সহ বেশকিছু সংস্থা এই কাজে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্যায়নের কাজে এই পরিবেশ-বান্ধব ইট ব্যবহার করা হবে। এই ইট দিয়ে পার্কের বিভিন্ন গাছের চারপাশ যেমন বাঁধানো হবে তেমনই তৈরি হবে বসার বেদি বা পাঁচিল। ধাপে ধাপে বিভিন্ন ঘরবাড়ি নির্মাণেও এই ইট ব্যবহার করা হবে।’’ সাঁকরাইল ব্লকে এই কাজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হওয়ায় জেলার অন্যান্য ব্লকেও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে পরিবেশ-বান্ধব ইট তৈরির কাজ শুরুর চিন্তা-ভাবনা করছে প্রশাসন।