ব্যুরো রিপোর্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দানকে স্মরণীয় করে রাখতে কলকাতা-সহ প্রতিটি জেলায় কার্নিভ্যালের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় সাড়ম্বর পালিত হল এই মেগা ইভেন্ট। দুর্গাপুরে মহাত্মা গান্ধী রোডের মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সামনে বিশাল মঞ্চ বেঁধে মূল অনুষ্ঠান হয়। এই কার্নিভ্যালের মূল সুর রাজ্যের মহান কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা তুলে ধরা।
আরও পড়ুন-আইসিসিতেই যাচ্ছেন সৌরভ? নতুন বোর্ড সভাপতি হতে পারেন বিনি
শহরের বড় বাজেটের ১৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। তারা ট্যাবলো নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে। ছিল জীবন্ত দুর্গার প্রদর্শনী। দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুভদ্রা বাউড়ি, এস অরুণ প্রসাদ, সুধীর নীলকান্তম প্রমুখ ছিলেন। রায়বেঁশে, ছৌ, মুখোশনাচ ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়। পুলিশের মোটরবাইক রোডশোও নজর কাড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে কার্নিভ্যালে জেলার ২৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। বিডিও অফিসের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় কুলপি থানার সামনে। ছিলেন বিধায়ক, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। প্রচুর মানুষ ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ভিড় জমান।
আরও পড়ুন-উত্তর কোরিয়া গোপনে পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি চালাচ্ছে, আশঙ্কা আমেরিকার
এই প্রথম বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়িতে ক্যার্নিভ্যাল হল। মহকুমাশাসক অনিন্দ্য সরকার জানান, বেণীমাধব স্কুল থেকে শুরু হয়ে কসমো বাজার পেরিয়ে সার্কিট হাউস হয়ে এস পি মোড়ে শেষ হল। বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরে হল বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা। বহু মানুষের সমাগম হয়। এই উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল শহরের পাঁচমাথা মোড়কে। তৈরি হয় বড় মঞ্চ। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সুনীল আগরওয়াল, অরিজিৎ সিংহ, কবিতা ঘোষ তিন বিধায়ক দুলাল মুর্মু, ডা খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, দেবনাথ হাঁসদা।