প্রতিবেদন : ভোটের কাজে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আজ কমিশনের তরফে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র-ইভিএম এবং ভিভি প্যাট সংক্রান্ত ফাস্ট লেভেল চেকিং প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সমস্ত জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসকরা এই শিবিরে অংশ নেন। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে প্রাথমিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ১৯ অগাস্ট রাজ্যে আসার কথা নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের।
আরও পড়ুন-বিজেপি শাসনের নমুনা তুলে কড়া জবাব তৃণমূলের
শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ শীর্ষ আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইভিএমের বিশেষজ্ঞ আধিকারিক বি সি পাত্র প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১ অগাস্ট থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ফাস্ট লেভেল চেকিং প্রশিক্ষণ শিবির রাজ্য জুড়ে চলবে। এই প্রশিক্ষণ পর্বে পাঁচ শতাংশ ইভিএমকে চেক করা হয় এই এফএলসি চেকিংয়ে। এক শতাংশ ইভিএম মেশিনকে ১২০০ ভোট দিয়ে চেকিং করা হয়। তাতে ইভিএমের সঙ্গে ভিভি প্যাট যথাযথ কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়। ২ শতাংশ মেশিনে ১০০০ ভোট দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ২ শতাংশ মেশিনে ৫০০ ভোট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-অরূপের সুচারু সঞ্চালনা প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে
এরপর হয় ইভিএমের লোড টেস্টিং। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও পরবর্তী পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাকা হবে। এদিন এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জেলাশাসকদের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজের ওপর গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, এখনও পর্যন্ত ভোটার তালিকায় বহু ভুয়ো নাম রয়েছে। ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করে নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে বলা হয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম তোলার প্রক্রিয়া আরও সরল করার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সব বুথগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭৯ হাজারের বেশি বুথ আছে। আগামী ৫ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার পরে ফের একবার বুথ পুনর্বিন্যাস করা হবে। যার ভিত্তিতে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে কত বুথ থাকছে তার সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।