ভোটের আগে শুরু হয়ে গিয়েছে আচরণবিধি কিন্তু তার মধ্যেই গতকাল অৰ্থাৎ শনিবার সিবিআই মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বাড়ি ও দফতরে হানা দেয়। করিমপুরে তাঁর ভাড়া বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে সিবিআই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর নির্বাচন কমিশনকে ইন্ডিয়া জোট জানায়, সিবিআই, ইডি এবং আয়করকে নিয়ন্ত্রণ করুক তারা। কমিশনকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি দিলেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্রের চিঠিতে সেই একই সুর প্রতিফলিত হল।চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-মালদহে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, মৃ.ত ৩
চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি লেখেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর নির্বাচনের কাজে বাধা তৈরী করছে। ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আদর্শ আচারণ বিধি জারি রয়েছে। সেই সময় রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে গিয়ে এই তল্লাশি কি আদর্শ আচারণ বিধি বিরোধী নয়?কমিশন কী করে এই আচরণ প্রশয় দিচ্ছে, যেখানে সংবিধান বলছে, ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমতা রক্ষা করতে হবে। তিনি লেখেন, কী করে কমিশন ভুলে যাচ্ছে যে সিবিআই কেন্দ্রের অধীনস্থ একটি সংস্থা। যার ফলে তার উপর কেন্দ্রের শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ থাকা স্বাভাবিক। তারা নির্বাচনী সুবিধা তুলতে এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।
আরও পড়ুন-৩০ মার্চ মথুরাপুরের ঢোলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা
তিনি এদিন নিজের চিঠিতে স্পষ্ট করে জানান, এই ধরনের সিবিআই তল্লাশি তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই তিনি আশা করছেন, নির্বাচনী আচারণ বিধি চালু থাকাকালীন তদন্তের কাজ কীভাবে চলবে তার একটা গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। আচারণ বিধি থাকাকালীন, সিবিআই যেন কোনও প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতর উপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।