প্রতিবেদন : তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণের পর ভোটের শতাংশের হার হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ার পিছনে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা চক্রান্তের হাত দেখছে। তা স্পষ্টভাবে ট্যুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এর আগে ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটের শতাংশ কমিশন প্রকাশ করত।
আরও পড়ুন-রেল কলোনিতে অত্যাচার বরদাস্ত করবে না তৃণমূল
কিন্তু এবারের ভোটে ব্যতিক্রম। প্রথম দফার ভোটের ১১ দিন বাদে আর দ্বিতীয় দফার ৪ দিন বাদে ভোটদানের শতাংশ প্রকাশ করা হল। এবং কী আশ্চর্য, দুই দফাতেই প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি ভোট বেড়ে গিয়েছে। ঠিক এখানেই প্রশ্ন। কী করে এতখানি পার্থক্য? এর আগে কখনওই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে। তার কারণ, বাংলায় দ্বিতীয় দফা ভোটদানের পর ভোট শতাংশ ছিল ৭২-এর আশপাশে। কমিশনের প্রকাশ করা সর্বশেষ তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮১.৯১ শতাংশ। কী করে ১০ শতাংশ বেড়ে গেল! এনিয়ে রহস্য শুধু নয়, বিরোধীরা চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করে বলেছেন, দ্বিতীয় দফার ভোটের ৪ দিন পর নির্বাচন কমিশন ভোটের শতাংশের হার প্রকাশ করেছে। ভোটের দিনের সঙ্গে আজকের এই শতাংশের পার্থক্য ৬.৭৫। এটা কি স্বাভাবিক? কোথাও একটা রহস্য রয়েছে। বিরোধী অন্য দলগুলির প্রশ্ন, প্রত্যেক কেন্দ্রে কতজন ভোটার রয়েছেন সেই তালিকাটা কমিশনের প্রকাশ করা উচিত। সেই হিসেব সামনে এলেই চিত্রটা পরিষ্কার হত। নইলে প্রদত্ত ভোটের শতাংশ প্রকাশ করাটা মুর্খামি। এই কারণেই হিসেবের হেরফের করার অভিযোগ উঠেছে। এর জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। ভোটের হার অবধারিত জেনেই কি নয়া চৌর্যবৃত্তি!