সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : বিদ্রোহ থামছে না। কয়েকমাস আগেই প্রকাশ্যে রাজ্য সম্পাদকের সামনেই হাতাহাতি হয়েছে। সোমবার দলের কোন্দল মেটাতে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৈঠক করেও সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। বরং একের পর এক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সহ একপ্রকার ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। ইতিহাস বলছে প্রথমবার দার্জিলিং জেলা সিপিএমের বৈঠকে কোনও রাজ্য সম্পাদকের উপস্থিতি। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির মোট সদস্য ৩৯ জন। তার মধ্যে এদিন জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৩২ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশ সদস্য সরাসরি অশোক ভট্টাচার্য ও জীবেশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
আরও পড়ুন-রওনা কর্মীদের, প্রতি স্টেশনে আপ্যায়নের আয়োজন
বয়সের কারণে ভারাক্রান্ত অশোক ও জীবেশ। তাই তাঁদের দিয়ে যে আর দল চলবে না তা একপ্রকার বুঝতে পেরেছেন সিপিএমের এই যুবরা। মহাম্মদ সেলিমের কাছেই আবেদন জানিয়েছেন দলের লাগাম এবার যুবদের হাতেই তুলে দেওয়ার জন্য। যদিও তাঁদের কথায় কোনও গুরুত্ব দেননি সেলিম। সুমন পাঠক যতই সিপিএমের জেলা সাধারণ সম্পাদক হোন, লাগাম কিন্তু অশোক জীবেশের হাতেই তুলে দিয়ে রাখলেন সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন-গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ঘুরে দেখলেন অভিষেক, সঙ্গে মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দ
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য একাধিক যুব সদস্যর মধ্যে এতটাই ক্ষোভ যে জেলা কমিটির মিটিং শেষ না করেই মাঝপথে বেরিয়ে গিয়েছেন অনেকে। যদিও এই ক্ষোভ- বিক্ষোভের বিষয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছে তারা কেউ গুরুত্বপূর্ণ নয়।’’ কিন্তু বাম শিবিরে এই বিদ্রোহ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।