টেলিমেডিসিন পরিষেবায় আগেই দেশের সেরার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার এই পরিষেবার উপভোক্তার সংখ্যার নতুন রেকর্ড তৈরি হল। রাজ্য সরকারের টেলিমেডিসিন পরিষেবা স্বাস্থ্য ইঙ্গিতের উপভোক্তার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাফল্যের জন্য তিনি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প টেলিমেডিসিন। টেলিমেডিসিন প্রকল্পের নাম ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’। অতিমারির সময়ে সবসময় ডাক্তার-রোগী যোগাযোগ, ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। এই সময়েই জনগণের সুবিধার্থে স্বাস্থ্যভবন চালু করে ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্প। আর তাতে সাড়া পড়েছিল ব্যাপক। ফলে ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীদের যোগাযোগ থাকত নিয়মিত। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিতেন কীভাবে থাকতে হবে, কী ওষুধ নিতে হবে। কী খেতে হবে। আর তাতে রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছিল ব্যাপকভাবে। এই প্রকল্পের জন্যই রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হয়েছে নয়া পালক— ‘ফিকির হেলথ কেয়ার এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’। টেলি ব্রেন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প সেখানে ছিনিয়ে নিয়েছে সোনার পদক।
আগামী দিনে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে এই ক্লিনিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে ক্যানসারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া, ৬৮টি টেলিমেডিসিন হাবের মাধ্যমে ৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক গ্রামীণ এলাকার মানুষদের এই দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন। জেনারেল মেডিসিন, প্রসূতি রোগবিদ্যা, শিশুরোগ, চর্মরোগ, চক্ষুরোগ, মানসিক রোগ, নাক-কান-গলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবা আগেই শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসা এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাও স্বাস্থ্যভবন করে দিয়েছে। তাতে মানুষ যেমন উপকৃত হয়েছেন, তেমনই বেড়েছে টেলি মেডিসিনের চাহিদা।
আরও পড়ুন- হতে পারে সৌদি আরবে, এএফসি কাপের দাবি ছেড়ে দিল ফেডারেশন