প্রতিবেদন : ন্যাড়া মাথার স্বঘোষিত বিপ্লবী কংগ্রেস নেতা মার খেলেন দলেরই লোকের কাছে। যদি নীতিগত কোনও প্রশ্ন নিয়ে বিবাদ, ঝগড়া-হাতাহাতি হত তাহলেও যুক্তি থাকত। কিন্তু কোন গাড়িতে কে বসবেন, কোন গাড়ি বেশি আরামদায়ক, কোন গাড়িতে বাতানুকূল ব্যবস্থা প্রাণ জুড়িয়ে দেয়, সে নিয়ে মারামারি করলেন ন্যাড়া মাথার নেতা। যিনি আজকাল নিজেকে রবিনহুড ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকজনই বলছেন, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল!
আরও পড়ুন-দিনের আলোয় কলকাতা শহরের বুকে সেই গণহত্যার স্মৃতি ফেরাল ৩০ এপ্রিল
কী হয়েছিল? দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে রাধিকাপুরে এসেছিলেন এই নেতা। কংগ্রেসের জনসংযোগ কোন জায়গায় পৌঁছেছে তার উদাহরণ এই ঘটনা। সকলে এসে দেখেন লোকজন বাড়িতে নেই। দলের রাজ্য সভাপতি চলে যাওয়ার পর শুরু হয় হাতাহাতি। মুণ্ডিতমস্তকের নেতা নিজেকে এখন রাজ্য সভাপতির পরেই মনে করছেন। তাই সেরা গাড়িটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে প্রথমে বচস তারপর হাতাহাতি। ঠেলা খেলেন, মার খেলেন কৌস্তভ। পুলিশ এসে যদি না বাঁচাত তাহলে দলের লোকের কাছেই আরও ভয়ঙ্কর বেইজ্জত হতেন কৌস্তভ। সবশেষে পুলিশ সামাল দেয়। স্থানীয় কংগ্রেসীরা দলীয় নেতৃত্বকে বলেছেন, এইসব ‘ফোড়ে’ নেতারা যেন ভবিষ্যতে স্পর্শকাতর জায়গায় না আসেন।