প্রতিবেদন : আইএসএলে প্রথমবার যুবভারতীতে হোম ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার ঘরের মাঠে লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া। অ্যাওয়ে ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হেরে এবারের আইএসএল অভিযান শুরু করেছে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। তবে ঘরের মাঠে গোয়ার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দলের পারফরম্যান্সে মন ভরেনি সমর্থকদের। গোটা মরশুমের কথা ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-বিজয়া সম্মেলনী নয় হল শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা
অধিনায়ক ইভান গঞ্জালেজকে সঙ্গে নিয়ে গোয়া দ্বৈরথের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্টিফেন বললেন, ‘‘সুভাষ ভৌমিক আমাকে বলেছিলেন, একদিন আপনি ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করাবেন। উনি এখন দেখলে খুশি হতেন। ৪ সপ্তাহের প্রস্তুতিতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা যায় না। বলতে পারি না, ইস্টবেঙ্গল চার বা ছ’নম্বরে শেষ করবে। আমি জাদুকর নই। তবে সমর্থকরা যদি একটু ধৈর্য ধরেন তাহলে এই ক্লাব যেখানে থাকার যোগ্য সেই জায়গাটা ফিরিয়ে দেব। ক্লাবের গৌরব ফিরিয়ে আনতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না।’’
আরও পড়ুন-মহানন্দার ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে হবে নির্মাণকাজ
প্রতি ম্যাচের আগে বারবার প্রস্তুতির অভাবের কথা বলাটা যে অজুহাত নয়, এটা যে একটা প্রক্রিয়া, সেটাও শুনিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ। পাশে বসে কোচকে সমর্থন করে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজ। যিনি গোয়া ম্যাচের অধিনায়ক। ইভান বললেন, ‘‘কোচ ঠিকই বলেছেন। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। সাফল্য অবশ্যই আসবে। গোয়া আমার পুরনো দল। ওদের খেলার ধরন একই রকম। আমরা ভালভাবে রক্ষণ সামলাব, আক্রমণ করব। অবশ্যই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব। আমরা আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করব।’’
আরও পড়ুন-বিতর্কে বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগে পোস্টিং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি
কেরল ম্যাচে কোচের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যা নিয়ে এদিন স্টিফেন বললেন, ‘‘প্রীতম সিং, জেরির চোট। তাই কিরিয়াকুকে লেফ্ট ব্যাকে খেলাতে হয়েছে। সুমিত পাসি স্ট্রাইকার নয়, তাই গোল মিসের দায় ওর উপর চাপানো ঠিক নয়।’’ কিন্তু অনিকেত যাদবকে কেন খেলানো হয়নি, তার কোনও জবাব দেননি স্টিফেন। বুধবারের প্রতিপক্ষ নিয়ে শুধু বলেন, ‘‘গোয়ার নতুন কোচ। নতুন কিছু করার চেষ্টা করবে। তবে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই নামব।’’
আজ আইএসএলে
ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া
(যুবভারতী, সন্ধ্যা ৭.৩০)