সংবাদদাতা, কাঁথি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর। সাধারণ মানুষ শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের এই গুন্ডামির প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি আন্দোলনে নামল তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদও। কাঁথিতে যুব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি তথা কাঁথির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরির উপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিকল্পিতভাবে সিআরপিএফ দিয়ে আক্রমণ চালান। হামলায় আহত হয়েছেন সুপ্রকাশ। শনিবার দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের পক্ষে কলেজ গেটের কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। ছিলেন আবেদ আলি খান, তারাশঙ্কর পন্ডা, নিমাই দাস প্রমুখ। রাজ্য কমিটির সদস্য আবেদ আলি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এর আগেও বিজেপি তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে আক্রমণে লাগিয়েছে। শুক্রবার কাঁথিতে সুপ্রকাশের উপর আক্রমণে তারই পুনরাবৃত্তি হল। বিরোধী দলনেতার এই ঘৃণ্য চক্রান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও তাঁর গ্রেফতারের দাবি করছি।’’ প্রতিবাদ জানিয়ে কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষে শনিবার কাঁথি মহকুমা শাসক, কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং কাঁথি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি শতদল দাস, ইমরান আলি খান, অয়ন জানা প্রমূখ। রামনগর কলেজ, বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়, বিবেকানন্দ মিশন মহাবিদ্যালয়, এগরা সারদা শশিভূষণ কলেজ, নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদও এদিন ধিক্কার মিছিল এবং পথসভা করে। ছিলেন শতদল বেরা, শেখ মৈদুল প্রমুখ। ১১৬বি জাতীয় সড়কে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন যুব তৃণমূল নেতা রবীনচন্দ্র মণ্ডল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।