প্রতিবেদন : বাংলার প্রাপ্য আদায়ে দরকারে দিল্লিতে কৃষক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসব। দেখব কীভাবে কেন্দ্র বাংলার মানুষের টাকা গায়ের জোরে আটকে রাখে। মঙ্গলবার বীরভূমের মুরারইয়ে জনসভা থেকে আরও একবার এভাবেই বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee- Trinamoole Nobo Jowar)। তাঁর কথায়, এটা কি ওদের টাকা নাকি! আপনাদের, বাংলার মানুষের হকের টাকা। কিছুতেই এই টাকা ওরা আটকে রাখতে পারে না। বাংলার টাকা ওদের দিতেই হবে। এরপরই অভিষেক বলেন, দিল্লিতে আন্দোলন সংগঠিত করতে আমি নিজে ঝাঁপাব। আপনাদের সকলকে সংগঠিত করে আগামী দিন দিল্লিতে কৃষক ভবনের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভে বসব। কারও দয়ায় আমরা বেঁচে নেই। যতদূর যেতে হয় যাব, আমাদের প্রাপ্য অধিকার কষ্ট করে ছিনিয়ে আনব। আগামী দিনে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করে তুলে প্রাপ্য টাকা আদায় করে নিয়ে আসব, এটাই আজকের শপথ। জোর-জবরদস্তি টাকা আটকে রাখতে পারেন না, এটা পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আপনারা আগামী দিন দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। কোনও নেতার ক্ষমতা নেই আপনার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখবে। মঙ্গলবার ২৫শে বৈশাখের পুণ্য দিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে বীরভূমে প্রবেশ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, বীরভূমের মাটিতে পা রাখতে পেরে আমি ধন্য। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বীরভূমে এসে আমি গর্বিত। আজ ১৫তম দিনে প্রবেশ করলাম। তিন রাত বীরভূমে থাকব। আমি আজ ভোটের প্রচার করতে আসিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে আপনাদের কাছে এসেছি। লোহাপুর-নলহাটি-মুরারই-সহ এদিন যেখানেই অভিষেক গিয়েছেন সেখানেই দেখেছেন কাতারে কাতারে মানুষ তাঁর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। এদিন সন্ধ্যায় তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
এদিন জনসভায় কেন্দ্রের এজেন্সি রাজনীতির বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, আমাদের বিরুদ্ধে যত ক্ষমতা আছে বিজেপির, প্রয়োগ করুক। এক ছটাক জমি বিজেপিকে ছাড়ব না। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাব। যত ক্ষমতা আছে ইডি, সিবিআই লাগাও, প্রয়োগ কর। তোমার কবজিতে কত জোর দেখি, আজকের দিনে অমিত শাহ রয়েছেন এখানে, এই বীরভূমের মাটি থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে যাচ্ছি, ক্ষমতা থাকলে যত শক্তি আছে প্রয়োগ কর। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরোবে, বন্দেমাতরম বের হবে, আর তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বেরোবে। আমরা মাথা নত করব না। তৃণমূলকে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দুর্বল করবে ভাবছে। ইডি, সিবিআই লাগানোর ফলে আজকের সভায় জনজোয়ার। নবজোয়ার দিয়ে শুরু করেছিলাম আজকে জনজোয়ারে (Trinamoole Nobo Jowar) পরিণত হয়েছে। যতই ইডি, সিবিআই লাগাবে তৃণমূলের লড়াই তত তীব্রতর হবে। আন্দোলনের ঝাঁজ তত বাড়বে। লড়াইয়ের মানসিকতা তত শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: কুসুম্বার উন্নয়ন দেখে চমকে গেলেন, দাদুর সঙ্গে দেখা