সূর্যের তাণ্ডবে অনায়াস জয়

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৯৯/৬ (২০ ওভার) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০০/৪ (১৬.৩ ওভার)

Must read

মুম্বই, ৯ মে : শুরুর দিকে হতাশ করেছিলেন। কিন্তু আইপিএল যত এগোচ্ছে, ততই সূর্যের তেজ বাড়ছে!
সূর্যকুমার যাদব। যেদিন ফর্মে থাকেন, সেদিন বিপক্ষ দলের কিছুই করার থাকে না। মঙ্গলবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেল আরসিবি (MI vs RCB)। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৯৯ রান তুলেও হারতে হল। সূর্যের ৩৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে ২১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক লাফে তিন নম্বরে উঠে এলেন রোহিত শর্মারা। সূর্যের পাশে নজর কাড়লেন মুম্বইয়ের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার নেহাল ওয়াদেরা। তিনি ৩৪ বলে ৫২ করে নট আউট থেকে যান।
তবে এবারও ব্যর্থ রোহিত। হিটম্যান এদিন মাত্র ৭ রান করে আউট হলেন। তিনি ও ঈশান কিসান (২১ বলে ৪২) প্যাভিলিয়নে ফেরার পর, মুম্বইকে টানেন সূর্য-ওয়াদেরা জুটি। সূর্য যখন আউট হলেন, তখন জয় থেকে মাত্র ৮ রানের দূরত্বে ছিল দল। সূর্যের তাণ্ডবে ঢাকা পড়ল আরসিবির ফাফ ডুপ্লেসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি।

আরও পড়ুন: কুসুম্বার উন্নয়ন দেখে চমকে গেলেন, দাদুর সঙ্গে দেখা

এদিন আরসিবিকে (MI vs RCB) শুরুতেই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন জেসন বেহরেনডর্ফ। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বিরাট কোহলিকে (১) আউট করেন তিনি। পরের ওভারেই তুলে নেন অঞ্জু রাওয়াতকে (৬)। ফলে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতে না তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল আরসিবি। মজার কথা, বাঁহাতি অস্ট্রেলীয় পেসার এই বছরেই আরসিবি থেকে যোগ দিয়েছেন মুম্বইয়ে।
তবে চাপের মুখে গুটিয়ে থাকেননি ডুপ্লেসি ও ম্যাক্সওয়েল। দু’জনেই পাল্টা চড়াও হন মুম্বই বোলারদের উপর। ফলে রান উঠছিল ঝড়ের গতিতে। মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তুলে ফেলেছিল আরসিবি। পিছিয়ে ছিলেন না ডুপ্লেসিও। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩০ বলে। এবারের আইপিএলে এটি ডুপ্লেসির ছ’নম্বর হাফ সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে এই জুটি ভাঙেন বেহরেনডর্ফ। তাঁকে ছয় মারতে গিয়ে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ততক্ষণে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৬২ বলে ১২০ রান যোগ করে ফেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল-ডুপ্লেসি জুটি। ম্যাক্সওয়েলের অবদান ৩৩ বলে ৬৬। এরপর মহিপাল লোমরো মাত্র ১ রান করে কুমার কার্তিকেয়ের শিকার হন। ডুপ্লেসিও আউট হয়ে যান ৪১ বলে ৬৫ করে। পরপর তিনটে উইকেট পড়ে যাওয়ার আরসিবির রানের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে চালিয়ে খেলে ১৮ বলে ৩০ রান করেন দীনেশ কার্তিক।

Latest article