প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান মেনে রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ ফেরাতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। চলতি সপ্তাহেই হলদিয়ায় এই কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিক স্বার্থে একশো শতাংশ সুরক্ষিত রাখতে একাধিক কড়া ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। হলদিয়ার পর শনিবার সেই কাজ শুরু হল আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও। এই উপলক্ষে এদিন আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা এডিডিএ-র দফতরে এক জরুরি সভা হয়। সভায় শিল্পাঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা মিলিয়ে ৪৯ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন – জল অপচয় বন্ধে ফিরহাদের পদক্ষেপ
প্রশাসনের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মলয় ঘটক, আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত ও আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক। সভায় প্রতিটি সংস্থার পরিচালকদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শ্রমিক স্বার্থ একশো শতাংশ যাতে সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারদের একাংশের দৌরাত্ম্য যে কোনও মূল্যে বন্ধ করতে হবে। শিল্পাঞ্চলে ঠিকাদারদের একাংশ ঠিকাকর্মীদের গেটপাস নিয়ে নানারকম অনিময় ও দুর্নীতি চালাচ্ছেন। তা বন্ধ করতে অবিলম্বে কাগজের গেটপাস তুলে দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় সব সংস্থার ম্যানেজমেন্টই এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই জাতীয় সভায় ডাক পেয়ে তাঁরা খুশি। তাঁদের আবেদন, নিয়মিত ভাবে এই জাতীয় সভা হোক। তাহলে তাঁরাও নিজেদের কথা প্রশাসনকে জানাতে পারবেন, ফলে মিটবে অনেক সমস্যা। বিজনেস সামিটে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকাতেও যে তাঁরা খুশি তাও গোপন করেননি সংস্থার শীর্ষকর্তারা।