নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : নজরদারিতে কোনওভাবেই আর ঢিলেমি দেওয়া যাবে না। আগাম সতর্ক থাকতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলিতে করোনার(Corona) নতুন উপজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধির মাত্রা দেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ পাঠানো হল। দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির চিত্র রীতিমতো চিন্তার। অবস্থা উদ্বেগজনক চিনেও। সেখানে ১৩টি শহরে লকডাউন চলছে।
আরও পড়ুন – স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়া নবান্ন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, করোনার (Corona) নতুন প্রজাতিগুলিকে সময়মতো শনাক্ত করতে হবে এবং কোভিড ১৯ প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আইসিএমআরের নীতি মেনে রাজ্যগুলিতে আরও বেশি পরীক্ষা বাড়াতে হবে বলেও জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। বলেছেন, আগের মতোই পরীক্ষা, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা— তিন নীতি মেনে চলতে হবে। গত ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকও হয়। যেখানে জিনোম পরীক্ষার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে নতুন প্রজাতি দ্রুত শনাক্ত করা যায়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে নতুন করে আক্রান্ত ২,৫২৮ জন। ৬৮৫ দিন পর দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজারের নিচে নেমেছে। এখন দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের। সংক্রমণ এই মুহূর্তে কমলেও চলতি বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতা জরুরি।