ত্রিপুরা পুরভোটে(Tripura municipality Election) সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপির (BJP) হামলা, মামলা, তান্ডব, ছাপ্পা ভোটের পরেও তিন মাসেরও কম সময়ের সাংগঠনিক অভিযানে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটেছে ত্রিপুরার মাটিতে। একটি আসন জয় এবং পাশাপাশি ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-Abhishek Bandhyopadhyay: ত্রিপুরায় বীর সেনাদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) বলেন, ‘মাত্র ৩ মাসের মধ্যে রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ত্রিপুরার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি বিরল যে, কোনও রাজনৈতিক দল তিন মাস লড়াই করে প্রায় ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ত্রিপুরার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এত সন্ত্রাস, এত রিগিং উপেক্ষা করে আজকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধাণ বিরোধী দলের ভূমিকায়। শাসকদল নিশ্চিতভাবেই চিন্তিত। বিজেপির ছেলেরা রিগিং করে ছাপ্পা দিয়েছে অনেক জায়গায়। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপি তার নিজের গড় বাঁচাতে পারেনি। কোথাও কোথাও ইচ্ছা করে গণনাতে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ৫ ভোটে, কোথাও ৯ ভোটে, কোথাও ২৫ ভোটে, কোথাও ৪০০ ভোটের ব্যবধানে আমরা পরাজিত হয়েছি।’
রাজীব এদিন আরও বলেন, ‘গত পুর নির্বাচনে এই আগরতলা পুর নির্বাচনে বিজেপি ১৪.০১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তারপর রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এসেছে। আর আজকে ত্রিপুরা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেনে রেখে দিন ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক এই ভাবেই পরিবর্তন আসবে। যে ফল এবার পুর নির্বাচনে হয়েছে তাতে ত্রিপুরাবাসীকে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রিপুরাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, তাদের গণতন্ত্র দেওয়ার জন্যে যে লড়াই আমরা ৩ মাস করেছি তার আগামী দিনেও চলবে’।