রাজনৈতিক স্বার্থেই আটকে রাখা হয়েছে পুরভোট, রাজ্যপালকে দুষছেন হাওড়াবাসী

শংসাপত্র নিতে সমস্যা হচ্ছে। ছুটতে হচ্ছে বিধায়কদের কাছে। দ্রুত যে কাজ হয়ে যেত সেটা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে।

Must read

সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : হাওড়া কর্পোরেশন সংশোধনী বিল অনর্থক আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফলে হাওড়া পুর এলাকার অনেক কাজকর্ম আটকে যাচ্ছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। ক্ষুব্ধ পুরবাসীরা বলছেন, নির্বাচিত কাউন্সিলর না থাকায় অনেকসময়ই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেকোনও শংসাপত্র নিতে সমস্যা হচ্ছে। ছুটতে হচ্ছে বিধায়কদের কাছে। দ্রুত যে কাজ হয়ে যেত সেটা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে।

আরও পড়ুন-অন্য রোগেরও চিকিৎসা বাঙ্গুরে

নির্বাচিত কাউন্সিলর না থাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও গতি আসছে না। নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও কাউন্সিলররা না থাকায় অনেক সময় নজরদারির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। হাওড়া শহরের বাসিন্দারা বলেন, বিজেপি একসময় সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে হারার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আর এখন রাজ্যপালকে দিয়ে হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট আটকে রাখতে চাইছে। বিজেপির নির্দেশেই রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে সই করতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শহরবাসী। ফলে হাওড়ার পাশাপাশি বালি এলাকার মানুষকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

আরও পড়ুন-বেলাগাম বাইক রুখতে

এই পরিস্থিতিতে হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ড শহরের নাগরিক পরিষেবা সচল রাখতে সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে। সম্প্রতি হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী চেয়ারম্যান অন পরিষেবা চালু করে সরাসরি শহরবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন। পুর পরিষেবার মান আরও বাড়াতে তিনি সবসময় কাজ করছেন।

এই অবস্থায় নির্বাচিত পুরবোর্ড থাকলে আরও সুষ্ঠুভাবে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হত বলে মনে করছেন শহরবাসী। তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘বিল নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবুও রাজ্যপাল অনর্থক সই না করে বিলটা আটকে রেখে দিয়েছেন। আসলে রাজ্যপালের কাজ হল সরকারকে উত্ত্যক্ত করা।”

Latest article