সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না একথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মেনেই দলের (Trinamool Congress) শৃঙ্খলারক্ষায় নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। পুর নির্বাচনের সময় দলের বিরুদ্ধাচারণ করে প্রার্থী প্রদান এবং দলীয় প্রার্থীদের অসহযোগিতার অভিযোগে পাঁচ ওয়ার্ডে সভাপতিকে সরিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বসানো হল ওয়ার্ড কনভেনর। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনের ব্যাপক আসনে জয়যুক্ত হয়ে চমকপ্রদ ফলাফল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বর্তমানে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়জয়কার। তবে বিগত পুরনির্বাচনী রণক্ষেত্রে যাঁরা বিভীষণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সাফল্যের পথে কাঁটা হয়ে ছিলেন তাঁদের উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি এসএফ রোডের একটি হোটেলে জেলা নেতৃত্ব ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক হয়। ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) অভিভাবক গৌতম দেব, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী, সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কুন্তল রায় এবং মহিলা ও ছাত্র নেতৃত্বরা। শিলিগুড়ি পুরসভার ৫, ২৪, ৩৯, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিদের সরানো হয়। বৈঠকে দলের পাঁচ ওয়ার্ডের সভাপতিদের সরিয়ে নতুন ওয়ার্ড কনভেনরদের নাম ঘোষণা করা হয়। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয় তা ফের বুঝিয়ে দেওয়া হল। দলকে অবমাননা করা হলে এভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তৃণমূল সভানেত্রী সাফ জানান নির্বাচনের সময়ে অসহযোগিতা মানে ঘরশত্রু বিভীষণ। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিজ স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে চলবে না তাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে। দল ও সাংগঠনিক কাজে উদ্যমী নতুন কর্মীদের তুলে এনে ওয়ার্ড কমিটি-সহ একাধিক পদে স্থান দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে বাড়ল বোরো চাষের এলাকা