প্রতিবেদন : পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনে আরও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতের নাম সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি। বাপি সম্পর্কে ভাড়াটে খুনি ধৃত অমিত পণ্ডিতের মাসতুতো ভাই। আগরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব সক্রিয় বিজেপি কর্মী৷ সে আগে পানিহাটি পুরসভার পূর্ত দফতরে ঠিকাদারি করত। ধৃত সঞ্জীব এই খুনে সরাসরি জড়িত বলেই দাবি করেছেন বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর। খুনের পরদিনই অভিযুক্ত ভাড়াটে খুনি অমিত পণ্ডিত ওরফে শম্ভুকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন-আজ ফাইনালের দরজা খোলার কঠিন পরীক্ষা, আইএসএলে মরণ-বাঁচন লড়াই মোহনবাগানের
ধৃত অমিতকে জেরা করে এবং তার কাছ থেকে পাওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার গ্রামে হানা দিয়ে অমিতের মাসির ছেলে সঞ্জীব ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ৷ অজয় ঠাকুরের দফতরে দু’জনকে টানা জেরার পর সঞ্জীব পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়৷ সঞ্জীবের পাশাপাশি কাউন্সিলর খুনে এদিন আরও তিন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। খুনে যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা এসেছিল এদের কাছ থেকেই। জেরায় পুলিশকে এমনই জানায় ভাড়াটে খুনি ধৃত অমিত। খুনের আগে এই তিনজনের কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল সে। অমিতকে জেরার সূত্র ধরে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থেকে তিনজনকে ধরে পুলিশ। আপাতত তাদের আটক করে জেরা করা হচ্ছে। এই খুনে এরই মধ্যে সিআইডি তদন্তও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-লোকসভায় অধীরের নাটক, তুলোধোনা তৃণমূল কংগ্রেসের
সোমবার সিআইডির প্রতিনিধিরা তদন্তের কাজে পানিহাটিতে যান। পুলিশ অবশ্য এখনই তদন্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়। গোটা ঘটনায় কড়া মনোভাব নিয়েছে প্রশাসন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন খুনের মাস্টার মাইন্ড বা মূল চক্রীকে খুঁজে বের করা হবে। পুলিশ-প্রশাসনও খুনের কিনারা করতে তৎপর। রাজ্যকে অশান্ত করার চক্রান্ত কোনওভাবেই সফল করতে দেওয়া হবে না। খুনি অমিতকে কে বা কারা এই কাজের জন্য ভাড়া করেছিল তাদের খোঁজ চলছে।