প্রতিবেদন : আগামিকাল ভোট গণনা। ব্যালট বাক্স খোলার পর মঙ্গলবার সকালের পর থেকেই একটু একটু করে সামনে আসবে গ্রাম-বাংলার রায়। জানা যাবে রাজ্যের ৬১,৫৩৯টি বুথে মানুষের রায়। কিছু জায়গায় রিপোল হলেও মোটামুটিভাবে গ্রাম-বাংলা কাদের দিকে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে— যে-রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন রাজ্যে দশ কোটিরও বেশি মানুষ। ফলে পোলিং এজেন্টদের মতো এই দিনটা কাউন্টিং এজেন্টদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। দলের অথেন্টিক ফর্ম নিয়ে এক্কেবারে সকালে তাঁরা পৌঁছে যাবেন গণনাকেন্দ্রে। কিন্তু দলের তরফে নেতৃত্ব তাঁদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে জেলায় একুশের প্রচার জোরকদমে
গণনা শুরুর আগে ব্যালট বাক্সের সিল পরীক্ষা করে নিতে হবে।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হবে। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত-পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রতিটি ধাপে মনোযোগ সহকারে কড়া নজর রাখতে হবে।
যেহেতু ব্যালট পেপার তাই প্রতিটি ব্যালট খোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিরোধী এজেন্টরা উসকানি দেবে, নানা চক্রান্তে লিপ্ত হবে। ফলে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।
গণনাকেন্দ্রে অশান্তি করে ব্যালট ছিনিয়ে নিতে পারে বিরোধীরা। সতর্ক থাকতে হবে।
যা-ই ঘটুক না কেন গণনার টেবিল ছেড়ে ওঠা যাবে না।
রিলিভার না এলে গণনা ছেড়ে কোথাও যাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন-রাজ্যসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস
গভীর রাত পর্যন্ত গণনা চলবে। কোথাও সারা রাতও চলবে। ফলে প্রস্তুত থাকতে হবে।
গণনার সময় কোনওরকম সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট অফিসার ও দলকে জানাতে হবে।
জয়ের উল্লাসে গা ভাসালে চলবে না এজেন্টদের। প্রতিটি স্তরের গণনা শেষ হলে রেজাল্ট বুঝে নিতে হবে।
গণনাকেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের দেওয়া জলখাবার খাবেন না।
যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনটি স্তরের গণনা শেষে সরকারিভাবে ঘোষণা হচ্ছে, ততক্ষণ গণনার টেবিল ছাড়বেন না।
সঙ্গে ডায়েরি-খাতা-একাধিক কলম রাখবেন। যাতে প্রতিটি রাউন্ডে ব্যালটের হিসেব আপনার কাছে থাকে।