হার নিশ্চিত জেনে ভোটের পরেও বিরোধীদের সন্ত্রাস

সব দিক থেকেই দেখা গিয়েছে অবাধ ভোটে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। যাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন তাঁরাই ব্যালট বক্স নিয়ে দৌড় দিয়েছেন

Must read

প্রতিবেদন : শুধু কথার কথা নয়, একেবারে তথ্য-পরিসংখ্যান-নাম-সাকিন-ঘটনাস্থল তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দেখিয়ে দিল বিরোধীদের মিথ্যাচার আর কুৎসা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গোটা বাংলা জুড়ে যে মৃত্যুর হোলিতে মেতেছিল বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের রামধনু জোট তাতে দরকার ছিল লাশের। তা তারা পেয়ে গিয়েছে। সেই লাশের পরও আশ মেটেনি বিরোধীদের। লাগাতার কুৎসা চলছেই।

আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে জেলায় একুশের প্রচার জোরকদমে

রবিবার রাতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি ট্যুইটে রীতিমতো তালিকা, ঘটনাস্থল তুলে ধরেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে একের পর এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। হার নিশ্চিত বুঝে রীতিমতো পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের মিলিত দুষ্কৃতী বাহিনী। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৭ জনই তৃণমূলের। অর্থাৎ প্রায় ৬৩ শতাংশ। গ্রাম-বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছে৷ ৬১ হাজারের বেশি বুথের মধ্যে মাত্র ৭ থেকে ৮টি বুথে গন্ডগোল হয়েছে। ছোটখাটো গোলমাল হয়েছে ৬০টির কাছাকাছি বুথে। তৃণমূলের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ভোটের দিন নদিয়ার চাপড়ায় কংগ্রেসের হামলায় মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক আমজাদ হোসেনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মী আনিসুর ওস্তাগরের। মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মী ইয়াসিন শেখের।

আরও পড়ুন-রাজ্যসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস

এছাড়াও মুর্শিদাবাদের নালদীপ পঞ্চায়েতের রতনপুরে তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখকে কুপিয়ে খুন করে কংগ্রেস কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় সিপিএম কর্মীরা গৌতম রায় নামে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মহম্মদ শাহিন শাহ। মালদহের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস কর্মীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হন ৭ জন তৃণমূল কর্মী। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের মিলিত হামলার শিকার হন তৃণমূল সমর্থকরা। নদিয়ার নারায়ণপুর ১ পঞ্চায়েতে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হাসিনা সুলতানার স্বামী ও কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক।

আরও পড়ুন-রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেবে আমেরিকা

সব দিক থেকেই দেখা গিয়েছে অবাধ ভোটে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। যাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন তাঁরাই ব্যালট বক্স নিয়ে দৌড় দিয়েছেন। নির্লজ্জ গদ্দার অধিকারী বলেছিল, ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলে দিতে। অনেক জায়গায় বিজেপি কর্মীরা তা করেছে। শুধু তাই নয়। নির্লজ্জতার আরও উদাহরণ তৈরি করেছে গদ্দার অধিকারী। শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে গদ্দার অধিকারী যা করেছে তা চরম লজ্জার। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা অমিত শাহের কাছে এসবের কৈফিয়ত চাইছি, মণিপুর রাজ্য এতদিন ধরে জ্বলছে৷ সেখানে কী করছেন? বাংলা নয়, মণিপুর নিয়ে মাথা ঘামান। এই ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিআরপিএফের সাহায্যে বিজেপির বুথ দখল রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ঝাড়গ্রামে প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে খুনের হুমকি দেয় সিপিআইএম কর্মীরা। এছাড়াও কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর জখম হন কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তারা র্শকের ভূমিকা পালন করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না।

Latest article